নড়াইলে রাস্তা পরিষ্কারের নামে শতাধিক গাছ নিধন!
নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের বড়াল গ্রামে রাস্তা পরিস্কার করার নামে শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সরজমিন গিয়ে দেখা যায় বিছালী ইউনিয়নের বড়াল-আটঘরা রাস্তার দু’পাশের শতাধিক ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তা পরিস্কার করার কথা বলে বড়াল গ্রামের মুশা বিশ্বাস (৫৫), পিন্টু বিশ্বাস এবং আটঘরা গ্রামের মনতোষ বিশ্বাস (৫৫) এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রাস্তার দু’পাশের গাছ কেটে সাবাড় করেছে। গত বুধবার দিনব্যাপি এ গাছ কাটা তান্ডব চালায় ওই সন্ত্রাসী চক্র।
এ ঘটনায় বড়াল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ আসলাম শেখ, আজিবর, লতিফ বিশ্বাস এবং আটঘরা গ্রামের পরিতোষ ও অমর সহ অনেকে বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আনিসুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি বড়ালের ইউপি সদস্য হানিফ বিশ্বাসকে বিষয়টি সমাধানের দ্বায়িত্ব দিলেও তিনি এ ব্যাপারে কোন সমাধান দিতে পারেননি।
কাটা গাছ দেখিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বড়াল গ্রামের আসলাম শেখ বলেন, তার বাড়ির পাশে রাস্তার পাশ থেকে তার অনেকগুলি গাছ কেটে দিয়েছে রাস্তা পরিস্কার করার কথা বলে ওই চক্র।
কিন্তু রাস্তা থেকে অনেক দুরে তার জমির আইলে লাগানো আম, আমড়া, শিমুল ও সজিনা গাছ সহ প্রায় ২০টি গাছ আক্রোশমুলক কেটে ফেলেছে ওই চক্রটি। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একইভাবে এ গ্রামের আজিবরের মেহগিনি, শিশু ও কলাগাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
লতিফ বিশ্বাসের প্রায় ২০টি কচা গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আটঘরা গ্রামের পরিতোষ ও অমর এর আম, মেহগিনি, শিশু ও লম্বু গাছ কেটে ফেলেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, তাদেরকে কোন কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে বুধবার সকাল থেকে ওই চক্রটি গাছ কাটা শুরু করে।
নিষেধ করলেও তারা কারো কোন কথা শোনেনি। এ গাছ কাটা চক্রের অন্যতম হোতা মুশা বিশ্বাস সরকারি খাস খতিয়ানের প্রায় ১০ কাঠা জায়গা নিজ বাড়ির সাথে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে নিয়েছেন। তিনি নিজে সরকারি জায়গায় ঘর তুলে বসবাস করছেন।
অথচ রাস্তার পাশে অন্যের লাগানো গাছ তার অনুমতি ছাড়াই কেটে ফেলেছেন। অনেকে ছোট ছোট চারা গাছ উঠায় নিয়ে অন্যত্র লাগানোর জন্য সময় চাইলেও সে সুযোগ দেননি। তার এমন আচরনে এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মুশা বিশ্বাসের নিকট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইউপি সদস্য হানিফ বিশ্বাস বলেন, এভাবে গাছ কেটে ফেলা ঠিক হয়নি। রাস্তা পরিস্কার করার প্রয়োজন আছে। কিন্তু তাই বলে কারো ক্ষতি করে নয়। তিনি বিষয়টি মিমংসার চেষ্টা করছেন বলে জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আনিসুল ইসলাম জানান, বাস্তব অবস্থা দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউপি সদস্য হানিফ বিশ্বাসকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)