পদ হারাতে পারেন হাজী সেলিম পুত্র ইরফান
রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদটি হারাতে পারেন ইরফান আহমেদ সেলিম।
মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে সাংসদ হাজী সেলিমের দ্বিতীয় ছেলে ইরফান সেলিমের এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল সোমবার র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম তাদের এই সাজা দেন।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ (সংশোধিত ২০১১) অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের জন্য মেয়র বা কাউন্সিলররা বরখাস্ত হয়ে থাকেন। এ আইনের ১২ ধারায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করতে হয়।
উপ-ধারা ১২ (১) বলা হয়েছে, যে কোন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের অপসারণের জন্য ধারা ১৩ এর অধীন কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে ক্ষেত্রমত, মেয়র বা কোন কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করতে পারবে। এ আইনের ১৩ ধারায় মেয়র এবং কাউন্সিলরগণের অপসারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। ১৩ এর উপধারা ১ এর খ-তে বলা হয়েছে, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে তিনি অপসারিত হবেন। ১৩ এর ঘ-তে বলা হয়েছে, অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলেও তিনি অপসারিত হবেন।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মেয়র বা কাউন্সিলররা আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তিনি বরখাস্ত হন। তবে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন থেকে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হয়।’
উল্লেখ্য, রোববার রাতে ধানমণ্ডি এলাকায় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদকে মারধরের ঘটনায় সোমবার একটি মামলা হয় থানায়। তাতে ইরফান সেলিম ছাড়াও হাজী সেলিমের প্রোটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)