বিএসএফের দাবি- বেনাপোল সীমান্তে নিহত বিজিবি সিপাহি গরু পাচারকারীর ছদ্মবেশে ছিলেন
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গত সোমবার ভোরে যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে বিজিবির সিপাহি রইশুদ্দীনকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।
একদল গরু চোরাকারবারিকে প্রতিহত করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ২ দিন পর বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
তবে বিএসএফ দাবি করছে, বিজিবির সেই সিপাহি ইউনিফর্মে ছিলেন না। তিনি গরু পাচারকারীর ছদ্মবেশে ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
বিএসএফের সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই আরও বলেছে, বাংলাদেশি একদল গরু পাচারকারী নতুন করে স্থাপন করা কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে এই ঘটনা ঘটে। ভারতীয় এক সৈন্য অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের দলটির সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করে তাদের দিকে এগিয়ে যায়।
বিএসএফের এক কর্মকর্তা ঘটনাটি প্রসঙ্গে বলেন, চোরাকারবারিরা বুঝতে পেরেছিল যে, বিএসএফ সেনা সেখানে একা ছিলেন। চোরাকারবারিরা তাকে ঘিরে ধরে ধারালো কাস্তে ব্যবহার করে আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার্থে তখন গুলি চালান বিএসএফ সেনা। এতে আহত হন একজন হামলাকারী। পরে দেখা যায়, সেই হামলাকারী একজন বিজিবি সিপাহি।
বাকি হামলাকারীরা ভারতীয় সৈন্যকে এড়াতে তখন ঘন কুয়াশাকে কাজে লাগিয়ে গবাদিপশু নিয়ে বেড়ার অন্য দিকে চলে যেতে সক্ষম হয়।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনার পর একটি পতাকা বৈঠকের সময় বিজিবি বিএসএফকে জানায় যে, তাদের একজন কর্মী নিখোঁজ রয়েছে এবং সন্দেহ করা হচ্ছে যে, তিনি ভারতীয় অংশে প্রবেশ করেছেন।
বিএসএফ বলেছে, গোলাগুলির শব্দ শুনে বিএসএফের কয়েকজন সেনা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বনগাঁও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে তল্লাশির সময় একটি গবাদিপশু এবং কয়েকটি ধারালো অস্ত্র পাওয়া গেছে।
বিএসএফ আরও বলেছে, একটি ছবি থেকে পরিচয় শনাক্ত করা গেছে যে, নিহত ব্যক্তি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন বিজিবিতে সিপাহি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি গরু পাচারকারীদের সঙ্গে চলাফেরা করছিলেন।
এ ছাড়া, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনকে এ ঘটনার কথা বিএসএফ অবগত করেছে বলে জানায় পিটিআই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)