বুধবার, এপ্রিল ২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

যেসব জটিলতা দেখা দেয় থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে

হরমোনের তারতম্যের কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোনের কম বেশি হওয়ার কারণে শিশু, নারীসহ সব বয়সি মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার কথা শোনা যায়। নারীদের অনেকের মাসিকে সমস্যা, অনেকের বন্ধত্য দেখা দেয়। আবার শিশুরা অনেকে হাবাগোবা হয়ে উঠে।

থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যজনিত সমস্যা দুই রকম হতে পারে। যেমন- শরীরে থায়রয়েড হরমোনের পরিমাণ কমে গেলে বা হাইপোথায়রয়েডিজম, আবার বেড়ে গেলে হাইপারথায়রয়েডিজম। হাইপোথায়রয়েডিজমের রোগের সংখ্যা হাইপারথায়রয়েডিজমের চেয়ে অনেক বেশি।

আমাদের দেশে সেটি আরও প্রকট। বাংলাদেশের আয়োডিন ঘাটতিজনিত ব্যাপক জনগোষ্ঠী এ সমস্যায় আক্রান্ত। আমাদের সামগ্রিক জীবনমানের ওপরে থাইরয়েড হরমোন ঘাটতি সুগভীর ঋণাত্মক প্রভাব বিস্তার করে আছে। আমাদের দেশে ব্যাপক সংখ্যক নির্বোধ মানুষ, বন্ধ্যা দম্পতি ও স্থূলদেহী জনগোষ্ঠীর পেছনে হাইপোথায়রয়েডিজম অন্যতম কারণ।

হাইপোথাইরয়েডিজম হলে শিশুদের বেলায় অবর্ধনজনিত রোগ বা ক্রিটিনিজম হবে এবং উঠতি বয়স্কদের বা প্রাপ্তবয়স্কদের মিক্সিডিমা হয়। ক্রিটিনিজমের লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মাংসপেশি ও হাড় এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বর্ধন না হওয়া। এর ফলে শিশু বেঁটে হয়, বোকা বা বুদ্ধিহীন হয়ে থাকে। জিহ্বা বড় হবে ও মুখ থেকে বেরিয়ে আসে এবং নাভির হার্নিয়া হয়। হাইপোথাইরয়েডিজম হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে অটোইমিউন ধ্বংসপ্রাপ্ত, ওষুধ, টিএসএইচ স্বল্পতা ও গর্ভাবস্থায় মায়ের থাইরয়েড হরমোন স্বল্পতা ইত্যাদি।

কম হরমোনের চিকিৎসা

রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্ন। তবে অধিকাংশ রোগীই ভোগেন হাইপোথায়রয়েডিজম অর্থাৎ তাদের থায়রয়েড গ্ল্যান্ড থেকে কম পরিমাণ থায়রয়েড হরমোন থাইরক্সিন নিঃসৃত হয়। এ ঘাটতি পূরণ করার জন্য ডাক্তাররা তাদের থাইরক্সিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীকে ১০০ থেকে ২০০ মাইক্রোগ্রাম থাইরক্সিন দেওয়া হয়।

ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

সারা জীবন ওষুধ খেতে হবে কিনা, তা রোগের ধরনের ওপর নির্ভরশীল। যার থাইরক্সিন ঘাটতি সামান্য বা উপসর্গও কম, তার সারা জীবন ওষুধ খাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ৬ মাস থেকে ২ বছরেই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। অনেক ওষুধ ছাড়াও সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু যার একেবারেই থাইরক্সিন নিঃসরণ হয় না বা কোনো কারণে থায়রয়েড গ্যান্ডটিকেই কেটে বাদ দিতে হয়েছে, তাদের সারা জীবন ওষুধ না খেয়ে উপায় নেই।

ওষুধ খাওয়া হঠাৎ বন্ধ করা সম্পর্কিত বিষয়

ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যেতে পারে। তবে নিজের ইচ্ছায় ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে অল্প দিনের মধ্যেই রোগটা ভয়ঙ্করভাবে ফিরে আসবে। জীবন সংশয় হতে পারে।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ওষুধের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কারণ শরীরে স্বাভাবিকভাবে যেটুকু থাইরক্সিন হরমোন থাকা দরকার, সেটি নেই বলেই তো বাইরে থেকে তা গ্রহণ করতে হয়। এক কথায় ঘাটতি পূরণ। সারা জীবন খেলেও কোনো অসুবিধা হয় না।

রক্ত পরীক্ষা

চিকিৎসা চলাকালীন বছরে অন্তত একবার রক্তে থাইরক্সিন বা T4 এবং TSH পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় সুবিধাবঞ্চিত কিশোরদের নিয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ক বিশেষ সেমিনার

অজোপাড়াগাঁয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোর-তরুণদের নিয়ে নানান মহতী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলারবিস্তারিত পড়ুন

এখন স্পর্শকাতর সময়, বিতর্কে পক্ষ নেওয়া উচিত নয়: মারুফ কামাল খান

কোনো ব্যাপারে পর্যাপ্ত ও পরিপূর্ণ তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত কোনো বিতর্কেই পক্ষবিস্তারিত পড়ুন

সুখী দেশের তালিকায় পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারত, শ্রীলঙ্কার পেছনে বাংলাদেশ

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭ দেশের মধ্যেবিস্তারিত পড়ুন

  • নয়াদিল্লি নয়, এবার ঢাকা থেকেই বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যু করবে অস্ট্রেলিয়া
  • যে সাতজন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার, কে কোন ক্ষেত্রে
  • মানবিক কাজের স্বাক্ষর রাখলেন কলারোয়ার ইউএনও জহুরুল ইসলাম
  • পৃথিবীর বেশিরভাগ কুয়া গোলাকার কেন হয়?
  • ধূমপানের মাত্র ১০ সেকেন্ডে কী ঘটে জানুন
  • ফেসবুকে যেসব পোস্ট করলে হতে পারে জেল
  • ‘দৌড়াও হাসিনা দৌড়াও’ গেমে মেতেছেন নেটিজেনরা
  • ভালোবাসা দিবসে ডিভোর্স মামলায় ডিসকাউন্ট আইনজীবীর!
  • সারাদেশে প্রায় ৮০০ আয়নাঘর আছে: প্রধান উপদেষ্টা
  • মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে কী ঘটে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
  • ভিসা ছাড়াই যে ৩৯ দেশে ভ্রমণ করতে পারবে বাংলাদেশিরা
  • মোবাইল ইন্টারনেটে ‘প্যাকেজ শর্ত’ তুলে দিলো বিটিআরসি