রাজগঞ্জে দখলদারদের কব্জায় সরকারি জমি : উচ্ছেদে জোরালো ভূমিকা নেই
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে বেশ কয়েক দফা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দিলেও যশোর জেলা পরিষদের নির্দেশ মানছে না প্রভাবশালী চক্র। রাজগঞ্জ একটি পুরাতন বাণিজ্যিক শহর ও পর্যটন নগরী। এই রাজগঞ্জে একাধিক স্থানে জেলা পরিষদের জমিতে ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে আছে প্রভাবশালী চক্র। সরকারের ক্রয়কৃত কোটি কোটি টাকা মূল্যের ৩ একর ৪৬ শতক জমি অবৈধ দখলদারদের কব্জায় রয়েছে এখনো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর এক স্মারকে রাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে সরকারি জমিতে স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে উচ্ছেদের আদেশ দেয় যশোর জেলা পরিষদ। কিন্তু নোটিশ জারির কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই।
অভিযোগ রয়েছে, রাজগঞ্জ বাজারের সরকারের অধিগ্রহনকৃত প্রধান সড়কের ৬০ ফুট প্রস্থের মধ্যে প্রায় ৩০ ফুট পূর্বের মালিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দখল করে নিয়ে ভবন নির্মাণ করে রেখেছেন। এব্যাপারে এলাকাবাসি যশোর জেলা পরিষদ বরাবর একাধিকবার অভিযোগ দেয়। এছাড়া রাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠ থেকে বাজারের চৌরাস্তা মোড়ের সাবেক জনতা হোটেল মার্কেট হয়ে মোবারকপুর ব্রীজ পর্যন্ত প্রধান সড়কটি সোজা করার জন্য ১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে হানুয়ার ও মোবারকপুর মৌজা থেকে ৩ একর ৪৬ শতক জমি তৎকালিন সরকার যশোর জেলা বোর্ডের মাধ্যমে অধিগ্রহন করে। ওই জমির প্রস্থ ছিলো ৬০ ফুট। পরবর্তী সময়ে ওই জমির উপর দিয়ে প্রথমে কাঁচা ও পরে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়। পাকা সড়ক নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত হয় মাত্র ৩০ ফুট জায়গা। আর অবশিষ্ট ৩০ ফুট জায়গা প্রধান সড়কের হালোট হিসেবে সংরক্ষিত থাকে। এরপর ১৯৯০ সালে মাঠ জরিপের সময় পূর্বের মালিকরা জরিপ কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে সরকারের ক্রয়কৃত ওই ৬০ ফুট সম্পত্তির মধ্যে থেকে হালোটের ৩০ ফুট জমি নিজেদের সীমানার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করার এবং সেই মোতাবেক রেকর্ড করে নেন।
এব্যাপারে একালাবাসি যশোর জেলা পরিষদ বরাবর গণস্বাক্ষরসহ অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে যশোর জেলা পরিষদ গত বছরের সেপ্টেম্বরে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য কয়েকবার নোটিশ জারি করে। কিন্তু তাতে আজ কোনো ফল এলাকাবাসি দেখতে পাইনি।
এব্যাপারে যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মিলন এ প্রতিনিধিকে জানান- নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি সম্পত্তি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রস্তুতি চলছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)