শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন : ২৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষী
স্যার আমি নির্দোষ, আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। স্যার, আমার বিচার তো অবশ্যই হবে, তবে-আপনি বিশ্বাষ করুন, আমাকে ঘটনার দিন ঢাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে এবং ভরতীয় রূপি দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার দেখায়। পরে আমাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে অস্ত্র দিয়ে আরো একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
স্যার, আমার হাসপাতালে করোনার সামান্য ১৪টি রিপোর্ট জাল দেখানো হয়েছে। তাতেই এই অবস্থা। বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এর আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে এসব কথা বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক মোহাম্মদ শাহেদ ওরফে শাহেদ করিম।
পরে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুটি মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন বিচারক শেখ মফিজুর রহমান। আলোচিত প্রতারক শাহেদ করিমের মামলা দুটি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষীর দিন ধার্য করা হয়েছে। শুনানি শেষে তাকে আবারো সাতক্ষীরা কারাগারে নেয়া হয়েছে। এ দুটি মামলার সে একমাত্র আসামী।
উল্লেখ্য: গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন। বোরখা পরিহিত শাহেদকে কোমরপুর বেইলি ব্রিজের নিচ থেকে র্যাব-৬ এর সদস্যরা গোপন সংবাদে তাকে আটক করেন। এসময় তার কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ২৩৩০ ভারতীয়রুপি, ৩টি ব্যাংকের এটিএমকার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। সকালে সাতক্ষীরায় এনে হেলিকপ্টার যোগে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলামবাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় রাতে শাহেদ করিম ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামী করে একটি মামলা করেন। তদন্তকারি কর্মকর্তা প্রথমে দেবহাটা থানার ওসি উজ্জল কুমার মৈত্র এবং দুই দিন পর র্যাবের এসআই রেজাউল করিম তদন্তকারি কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে ১০দিনের রিমান্ডে নেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই বছরের ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির হদিস না পেয়ে শুধুমাত্র শাহেদ করিমকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্র পক্ষের পিপি এড. আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)