মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সীমাহীন দূর্নীতিতে ভোমরা কাস্টমস শুল্ক স্টেশন! মাসে ফলের ট্রাক থেকে আয় ২ কোটি টাকা!

দূর্নীতির কারনে পদোন্নতি আটকে গেছে। কিন্তু তারপরও থেমে নেই দূর্নীতি। বেড়ে গেছে দূর্নীতির মাত্রাও। বিভিন্ন অযুহাত সৃষ্টি করে আমদানিকারকদের কাছ থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ভোমরা কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে আমদানি ও রপ্তানীকারকরা। তার এই সীমাহীন দূর্নীতির কারনে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে ভোমরা স্থল বন্দর ব্যবহারকারীরা। এই দূর্নীতির একটি হিস্যা চলে যাচ্ছে সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের এক নেতার পকেটে। যার কারণে ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী আমদানি ও রপ্তানীকারকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

একাধিক আমাদনিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের সাথে কথা বলে দূর্নীতির এই চিত্র পাওয়া গেছে।

সূত্র মতে, আমদানিজাত ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের পর ভোমরা শুল্ক স্টেশনে নগদ ২ হাজার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত বি/ই এন্ট্রি নং ফেলতে দেওয়া হয় না। তবে, আমদানিজাত পণ্যের প্রকারভেদে প্রতিটি বি/ই এন্ট্রিতে আমদানিকারকদের অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয়। তা না হলে আমদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কর্মচারীকে প্রতিনিয়ত নাজেহাল করা হয়। ভারতীয় প্রতি ট্রাক ফলের বি/ই এন্ট্রি নং ফেলার সময় ২ হাজার টাকা ছাড়া ও আরো অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা ঘুষ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও ফলের ট্রাক পরীক্ষণের সময় আরো ৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে যানজটের কারনে গত মার্চ মাসে ভোমরা বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০-৫০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। প্রতিটি ফলের ট্রাক থেকে ১৭ হাজার টাকা হারে প্রতিদিন প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ আদায় করা হতো। বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে যানজট কমে যাওয়ায় ভোমরা বন্দরে ফল আমদানি হ্রাস পেয়েছে। তারপরও প্রতিদিন ফলের ট্রাক থেকে নির্ধারিত হারে ঘুষ আদায় অব্যাহত রয়েছে।

ভারতীয় প্রতিটি হলুদের ট্রাকের বি/ই এন্ট্রিতে ৪ হাজার টাকা, শুকনা মরিচের ট্রাকে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। সাপটার আওতায় ১০০ মে. টন ভারতীয় সরিষার খৈল আমদানি করতে হলে কাস্টমস শুল্ক স্টেশনে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নির্ধারিত ছিলো। কিন্তু ঈদের ছুটির পর থেকে আরো ৭ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ২২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতীয় গমের ভুষির বি/ই এন্ট্রি ৫ হাজার টাকা ও সাপটার ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ মে. টনের জন্য ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নির্ধারিত হয়েছে। সিরামিক পণ্যের ক্ষেত্রে প্রতিটি বি/ই এন্ট্রি পরীক্ষণের নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০হাজার টাকা আদায় করা হয়। অর্থাৎ ভোমরা বন্দর দিয়ে যেকোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানী করলে ঘুষ বাধ্যতামূলক। শুল্ক মুক্ত ভারতীয় মুসরীর ডাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ মে. টনে ১ লক্ষ টাকা ঘুষ নির্ধারন করা হয়েছে।

ভারতীয় ট্রাক স্থলবন্দর থেকে বের করে আমদানিকারকদের নিজস্ব গোডাউনে আনতে হলে ৩০০ টাকার স্টাম্পে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিটি অঙ্গীকারনামায় ডেপুটি কমিশনারের নামে ২ হাজার টাকা আদায় করা হয়। প্রতিদিন প্রায় ৪০ টি স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় অব্যাহত রয়েছে। এই ঘুষের টাকা আদায়ের জন্য ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক তার বিশ্বস্ত একজন এ. আর. ও. কে দায়িত্ব দিয়েছেন। তার হাত দিয়ে এই টাকা সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কর্মচারীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়।

এ ঘটনায় কাস্টমস শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার এনামুল হকের বিরুদ্ধে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি আবেদন গত বছরের শেষের দিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যামে সংবাদ প্রকাশিত হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান তদন্তের জন্য খুলনা কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনারকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েসনের এক নেতাকে ম্যানেজ করে তার বিরুদ্ধে আনীত দূর্নীতির ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সামর্থ্য হন। এরপর থেকে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে রপ্তানী বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করে আসছে। কিন্তু ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে যেকোনো পন্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিটি বিল অব ইক্সপোর্টে ১০০০ টাকা ঘুষ বাধ্যতামূলক। গত সপ্তাহে পাটের আঁশ দিয়ে তৈরী সুতুলী রপ্তানীর ক্ষেত্রে ঘুষ ২৫০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। কেউ যদি ঘুষ দিতে অস্বীকার করে তাহলে ল্যাবোরেটরী পরীক্ষার নামে আমদানিকারকদের প্রতিনিয়তি হয়রানি করা হয়।

এ ব্যাপারে জানা জন্য কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনার এনামুল হক বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এখানে ব্যবসায়ির অবাধে ব্যাবসা করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরা “নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা” প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জি.এম আবুল হোসাইন, সাতক্ষীরা: ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র উদ্যোগে “নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্যবিস্তারিত পড়ুন

দেবহাটায় সিভিএ গ্রুপের দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলা ৩টি ইউনিয়নের সিভিএ গ্রুপের দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণবিস্তারিত পড়ুন

দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ গ্রহণের প্রস্তুতি, কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে সামগ্রী

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ। শতভাগ স্বচ্ছ, জবাবদিহিতা মূলক নির্বাচনবিস্তারিত পড়ুন

  • কালিগঞ্জে উন্নয়ন কার্যক্রমের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিকরণ বিষয়ক মতবিনিময়
  • কলারোয়ায় বোরো ধান-চাল ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন
  • সাতক্ষীরা পৌরসভায় সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায়- আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি
  • বর্ষণের ভয়ে কলারোয়ায় বাড়তি ধান কাটা খরচ যোগাতে স্বল্প মূল্যে ধান বিক্রি
  • কলারোয়ায় বড়-ছোটোর লড়াইয়ে ‘লাল্টু’ নিশ্চিত উপজেলা চেয়ারম্যান!
  • সাতক্ষীরায় দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান
  • দেবহাটায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটযুদ্ধ হবে মুজিবর-আলফা-রফিকুল
  • তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রচার শেষ, কাল দ্বিতীয় ধাপে ভোট
  • কালিগঞ্জে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে ৩ সংবাদকর্মী অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছিত
  • সাতক্ষীরায় আইআরআই’র আয়োজনে ‘তর্কে বিতর্কে উপজেলা নির্বাচন’ নির্বাচনী বিতর্ক’
  • তালায় চিংড়ি মাছ প্রতীকের নির্বাচনী জনসভা
  • আশাশুনি পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন