বুধবার, মে ৮, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

শিক্ষায় দ্বীপ্তিমান কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

শিক্ষায় দ্বীপ্তিমান কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

।। প্রফেসর মো.আবু নসর ।।

দক্ষিণ বঙ্গের গৌরবময় ঐতিহ্যের এক বর্ধিষ্ণু জনপদ কলারোয়া।
পূর্বনাম- হোসেনপুর। হোসেনপুর পরগনা। ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি (ধারণামতে ১৮৪০ সাল) জমিদার রানী রাসমনির সময় হোসেনপুর কলারোয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। হোসেনপুর থেকে কলারোয়া নামকরণেরও একটা ইতিহাস অবশ্য আছে।

‘প্রাথমিক শিক্ষার দ্বীপ্তি, উন্নত জীবনের ভিত্তি’

ইতিহাস ঐতিহ্যের চারণভূমি কলারোয়ায় ১৯২৯ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে অন্যতম প্রাচীণ।
কলারোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে এখানে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও একটি মাদ্রাসা স্থাপিত হয়। বঙ্গখ্যাত আলেম ও পীরে কামেল মাওলানা ময়েজদ্দীন হামিদীর প্রচেষ্টায় মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়েছিল। অনিবার্য কারণবশতঃ কয়েক বছর পর মাওলানা হামিদী সাহেব মাদ্রাসাটি তার নিজ গ্রাম পাঁচনলে স্থানান্তর করলে একই স্থানে কলারোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
শিক্ষার অভাব হেতু ও নিতান্ত প্রয়োজনের তাগিদে ১৯২৯ সালে তদানিন্তন কলারোয়ার কিছু সংখ্যক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় এলাকার শিক্ষার আলো বিস্তারকল্পে শিক্ষার মেরুদন্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। নাম দেওয়া হয় কলারোয়া মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্থানীয় ঝিকরা, গদখালি গ্রামের কিছু হিতৈষী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বজলুর রহমান দালাল ও শামসুর রহমান দালাল প্রাথমিক বিদ্যালয়টির জন্য ৫৪ শতক নিষ্কন্টক জমি (দাগ নং ২৪২, ২৫০ ও ২৫১) দান করে অশেষ মহানুভবতার পরিচয় দেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য। ওই পরিবারের সন্তান মো.অলিউর রহমান বেঁচে আছেন এবং বর্তমানে তিনি কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা সদস্য।

উল্লেখ্য যে, ১৯৬৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখে কলারোয়া মডেল প্রাইমারি স্কুলের নামে ৫৪ শতক জমি রেজিস্ট্রি হয়। প্রকাশ থাকে যে, এ. এস. এম. ডি শরীফউল্লাহ (পিতাঃ কাজী মারফতউল্লাহ) কলারোয়া মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে তার ভূমিকা ও অবদান স্মরনীয়।

আরও উল্লেখ্য যে, ১৯৭৩ সালের ০১ জুলাই তারিখে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ/সরকারিকরণ করেন। সেই থেকে বিদ্যালয়টি কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করে।

বর্তমান প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান একজন সুযোগ্য, সুদক্ষ, অভিজ্ঞ, জনপ্রিয়, সৎ, নিষ্ঠাবান, প্রজ্ঞাবান, বিচক্ষন, দূরদর্শী ও স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি কলারোয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিরও সাধারণ সম্পাদক। একই সাথে তিনি উপজেলা শিক্ষা কমিটিরও সদস্য। এই গুনী শিক্ষক এক জ্যোতির্ময় আলোকবর্তিকা। প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে অভূতপূর্ব, বিস্ময়কর ও নজরকাড়া সাফল্য অর্জনে প্রধান শিক্ষক ও জাতির সূর্য সন্তান তদ্বীয় শিক্ষকমন্ডলী ইতিহাস সৃষ্টির দিকপাল। বুদ্ধিমত্তা, সাহস ও ইচ্ছাশক্তিই প্রধান শিক্ষকের অবিনাশী অনুপ্রেরণা।

এছাড়া বর্তমান শক্তিশালী ও গতিশীল ম্যানেজিং কমিটির সুযোগ্য সভাপতি আলহাজ্ব আরাফাত হোসেনের আন্তরিক সহযোগিতায় কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও স্বনামখ্যাত বিদ্যাপীঠ হিসেবে সমাদৃত। এ বিদ্যালয়ের মানসম্মত ও চমৎকার পাঠদানের ফলশ্রুতিতে ফলাফল অভাবনীয় হওয়ায় বহু শিক্ষার্থী বর্তমানে দেশে বি সি এস ক্যাডার সহ বিভিন্ন দফতরে উচ্চ পর্যায়ের শীর্ষ পদে সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করছেন এবং দেশ গঠনে ভূমিকা ও অবদান রাখছেন।

কর্মবীর প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান বিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে তিনি সবুজ বাগান, জ্যামিতি ভূবন, রোজ গার্ডেন, রোজ ফোয়ারা, সবুজ বাংলাদেশ, নিশান, মেরি গো রাউন্ড, স্লিপার, ব্যালান্সড, সহ বিশিষ্ট ও প্রতিথযশা ব্যক্তিবর্গের নামে ভবনের নামকরন করেছেন যেমনঃ ড. এম আর খান ভবন, খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ ভবন, সিকান্দার আবুজাফর ভবন, মোঃ ওয়াজেদ আলী ভবন। ল্যাডার, প্রতিক্ষালয়, মন বাতায়ন,শিবিল স্মৃতি পাঠাগার, স্মৃতির আঙিনা, নিজেকে দেখা, মহানুভবতার দেওয়াল, প্রাথমিক শিক্ষক মিলনায়তন, ডিজিটাল হাজিরা, সি সি ক্যামেরা, আইসিটি রুম, সততা স্টোর ইত্যাদি দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যাবলী সম্বলিত কর্মকান্ড বাস্তবায়িত করে বর্তমান ও ভবিষ্যতে উজ্জ্বল স্মৃতির স্বাক্ষর রেখেছেন।

আমার স্বপ্ন আমার বিদ্যালয় বাস্তবায়নে প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চিন্তা ও কর্মে অনন্য শিক্ষক ও শিক্ষকতায় দূর্জয় আকাঙ্খার প্রতীক প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমান ও তার সহকর্মীবৃন্দ অনবদ্য দৃষ্টান্ত রেখে চলেছেন।

লেখক:
প্রফেসর আলহাজ্ব মো.আবু নসর
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ,
কলারোয়া সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা

ছবির এ্যালবাম থেকে:

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘লাইলাতুল কদরে প্রত্যেক বরকতপূর্ণ বিষয় অবতীর্ণ হয়’

‘লাইলাতুল কদরে প্রত্যেক বরকতপূর্ণ বিষয় অবতীর্ণ হয়’ আলহাজ্ব প্রফেসর মো. আবু নসরবিস্তারিত পড়ুন

পাপ মুক্তি ও রহমতের রজনী ‘পবিত্র শবে বরাত’

পাপ মুক্তি ও রহমতের রজনী ‘পবিত্র শবে বরাত’ আলহাজ্ব প্রফেসর মো. আবুবিস্তারিত পড়ুন

বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিদের আত্মত্যাগ বিশ্বের দৃষ্টান্ত

বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিদের আত্মত্যাগ বিশ্বের দৃষ্টান্ত প্রফেসর মো. আবু নসর ৫২’রবিস্তারিত পড়ুন

  • পবিত্র মিরাজের শিক্ষা স্রষ্টার ইবাদত ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
  • সাতক্ষীরার প্রথম মহকুমা প্রশাসক নওয়াব আব্দুল লতিফ
  • বহু ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর সাক্ষী আশুরা
  • জনসংখ্যার গতি-প্রকৃতি: চীনকে ছাড়িয়ে ভারত
  • ঈদুল আযহা : ঐতিহাসিক ত্যাগের মহান স্মরণিকা
  • শ্রমজীবীদের অধিকার আদায়ের দিন ‘মে দিবস’
  • বরকতময় পবিত্র শবে বরাত
  • ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মূল চালিকা শক্তি
  • চেতনায় ’৭১: মুক্তিযুদ্ধে কলারোয়া
  • ৬ ডিসেম্বর কলারোয়া হানাদারমুক্ত দিবস প্রফেসর মো. আবু নসর
  • সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী (সাঃ)
  • আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি-ই হলো কোরবানি