কলারোয়ায় ধানক্ষেত থেকে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
কলারোয়ার জালালাবাদ ইউনিয়নে সঞ্চিতা হোসেন সেঁজুতি (১৬) নামে ৮ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের সোহরাব হোসেন পলাশের একমাত্র কন্যা।
সোমবার (২৮ মার্চ) ভোর ৬ টার দিকে ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড জালালাবাদ গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে হাত বাঁধা ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ইউপি সদস্য মশিউর রহমান জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন একই গ্রামের সোহরাব হোসেন পলাশের মেয়ের লাশ ধান ক্ষেতে পাওয়া গিয়েছে।তৎক্ষণাৎ তিনি গ্রাম পুলিশ কৃষ্ণকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। অতঃপর কৃষ্ণ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কলারোয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
অতঃপর কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তিনি আরো বলেন, একই গ্রামের আলতাফ হোসেন বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রহমানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ছয় মাস আগে তারা কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে কলারোয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় মীমাংসার মাধ্যমে ওই মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা বলেন, সর্বশেষ গতকাল বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে আমার মেয়ের সাথে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমার মা জানায় সেজুতিকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি কলারোয়া থেকে তৎক্ষণাৎ বাড়িতে ফিরে আসি এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে সেঁজুতির সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকা প্রতিবেশী যুবক আব্দুর রহমানের বাড়িতে যাই এবং তার পিতাকে অনুরোধ করে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বলি।
ওই যুবকের পিতা জানায় তার ছেলেও বাড়িতে নেই এবং তার কাছে থাকা সেলফোনটি বন্ধ। রাত ১১ টা পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রাত ১২টার সময় কলারোয়া থানায় উপস্থিত হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আজ ভোরবেলা প্রতিবেশী ইসমাইল আমাকে জানায় আমার মেয়ের লাশ পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুর রহমানকে (২০) আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করবেন এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং মহিলা পুলিশের মাধ্যমে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)