হাঁস পালনে অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে রাজগঞ্জের মাসুদ রানা
মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ থানাপাড়ার বাসিন্দা মাসুদ রানা (৪০)। তিনি ছাত্র জীবন শেষ করে বিদেশ গিয়েছিলেন। ১০ বছর বিদেশ থেকে বাড়ী এসে বেকার জীবনের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে ৩ বছর আগে গড়ে তোলেন মেসার্স রানা এন্ড ব্রাদার্স নামের এক হাঁসের খামার।
মাসুদ রানা ও তার ৩ ভাই মিলে এ হাঁসের খামারে হাঁস নিয়মিত পরিচর্যা করছেন।
পুষলেন হাঁস, ঘোচালেন বেকারত্ব, দেখালেন অন্যদের
মাসুদ রানা বলেন, মানুষের ইচ্ছা শক্তি বহুদুর নিয়ে যেতে পারে। আমরা প্রথমে অল্প কিছু হাঁসের বাচ্ছা এনে অল্প পরিসরে খামারের কার্যক্রম শুরু করি। তারপর থেকে এ পর্যন্ত। বর্তমানে আমার মেসার্স রানা এন্ড ব্রাদার্স খামারে উন্নত জাতের বেলজিং, খাকি ক্যাম্বেল ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১১ হাজার হাঁস রয়েছে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় হাঁসের বাচ্ছা ও ডিম সরবরাহ করা হয়।
এই হাঁসের খামারটি স্থাপন করা হয়েছে রাজগঞ্জ থানাপাড়ার পাশে অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরা ঝাঁপা বাওড় পাড়ে। বর্তমানে এই তারুণ্য উন্মুক্ত খামারে দুই পর্যায়ে হাঁস রয়েছে। এ খামারের হাঁসের বাচ্ছাদের খাদ্য হিসেবে প্রথমে ভেজানো মুড়ি সাথে ওষুধ। পরে ফিড দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা বলেন, এই এলাকায় হাঁসের খামার করায় পুরো এলাকায় সাড়া ফেলেছে। হাঁস পালন করে মাসুদ রানা একজন তারুণ্যের দৃষ্টান্ত প্রতীক হয়েছে।
কী উদ্দেশ্যে করেছেন এই হাঁসের খামার, এই প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ রানা বলেন, বিদেশ থেকে এসে বেকার জীবন কাটাচ্ছিলাম। তখন মনে মনে ভাবলাম, বেকার জীবনে না থেকে কিছু করা যায় কিনা। তখন হাঁসের খামার করার কথা চিন্তা করেই কাজে নেমে পড়লাম। বর্তমানে আমি একজন খামারি হিসেবে সফল এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমার অবসর সময়কে কাজে লাগাতে পারছি।
তিনি আরো জানান, এই খামারে আমরা ৪ ভাই সহ এলাকার কিছু যুবকেরও কর্মসংস্থান করতে পেরেছি। এটাই আমাদের কাছে বড় কিছু।
মণিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী নিয়মিত এই খামারটি দেখাশোনা করছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বেকারত্ব দূর করার জন্য নানামুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যুবকদের উৎসাহিত করছে। সেক্ষেত্রে মাসুদ রানার হাঁসের খামার একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। কেবল সরকারি চাকরির আশা না করে, এভাবে আত্মপ্রত্যয়ী অনেকেই কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যম হতে পারে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)