শনিবার, জানুয়ারি ৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

৮ আগস্ট বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকী

৮ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী।
তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা।
১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে এ মহীয়সী নারীর জন্ম।
ফজিলাতুননেছার বাবা শেখ জহুরুল হক ও মা হোসনে আরা বেগম।

দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
তিনি আশা করেন, তার জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি (ফজিলাতুননেছা) জাতির পিতার সঙ্গে একই স্বপ্ন দেখতেন। এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাক, ভালোভাবে বাঁচুক এ প্রত্যাশা নিয়েই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবসময় ছিলেন সজাগ এবং দূরদর্শী। একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সাফল্যে বঙ্গমাতা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রায়ই কারাগারে বন্দি থাকতেন। এ দুঃসময়ে তিনি হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে একদিকে স্বামীর কারামুক্তিসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অন্যদিকে সংসার, সন্তানদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস জুগিয়ে স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ৬ দফা ও ১১ দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ অবদান রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দি থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বিশেষ করে নির্যাতিত মা-বোনদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং সামাজিকভাবে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেন। দেশ ও জাতির জন্য তার অপরিসীম ত্যাগ, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতার কারণে জাতি তাকে যথার্থই ‘বঙ্গমাতা’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।

বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীতে সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির পক্ষ হতে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের জন্য দুটি ই-পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে।

মাত্র ৫ বছর বয়সে ফজিলাতুননেছা মুজিব তার বাবা-মা দুজনকেই হারান। ১৯৩৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ফজিলাতুননেছা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও কর্মপ্রেরণাদাত্রী। এ ত্যাগী নারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ।

অনেক জটিল ও সংকটময় পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করেছেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে এগিয়ে নিতে গৃহবন্দি অবস্থায়ও তিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধু এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকের বুলেটে শহিদ হন তিনি। আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম মুজিব যে কর্তব্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী চিন্তা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন; এজন্য জাতির পিতার পাশাপাশি তিনিও চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শগুলো জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

১৫ আগস্টে ফজিলাতুননেছার সঙ্গে তার তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল ঘাতকের বুলেটে প্রাণ হারান। তবে বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, কুরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের সব স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জন নিহ*ত

গত বছরে (২০২৪ সাল) ছয় হাজার ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় আট হাজার ৫৪৩বিস্তারিত পড়ুন

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা ইস্যুতে চেয়ারপারসনের একান্তবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় দলে আর খেলছি না, আফ্রিদিকে জানালেন তামিম

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে তামিম ইকবাল। আদৌ তিনিবিস্তারিত পড়ুন

  • একদল যায়, আরেক দল এসে লুটে খায়: মিজানুর রহমান আজহারী
  • ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দেশব্যাপী জনসংযোগ ৬ থেকে ১১ জানুয়ারি
  • আলজাজিরার প্রতিবেদন: ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে বাংলাদেশি রোগীরা
  • প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাচ্ছেন ৫০ বিচারক
  • ৪৩তম বিসিএসে ২৬৭ জনকে বাদ দেয়া নিয়ে যা বললেন সারজিস
  • বিডিআর বিদ্রোহ : সেদিন সেনাকুঞ্জে হাসিনাকে জুতা ছুড়ে মারেন সেনা অফিসাররা
  • খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ, বৈঠকের নেপথ্যে আলোচনা কী?
  • ফ্যাসিবাদী সরকার ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে: মির্জা ফখরুল
  • তরুণ প্রজন্মের ত্যাগ স্বীকারকে বৃথা হতে দেয়া যাবে না : এম সাখাওয়াত
  • স্বাধীনতার পরে দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে : জামায়াতের আমির
  • ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তা : ‘ঢালাওভাবে’ বরখাস্ত অব্যাহত থাকলে চাকরিবিধি মেনে বড় কর্মসূচি
  • শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ইস্যুতে ‘সুর নরম’ বাংলাদেশের : টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন