কোকা-কোলা’র দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজি অপারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হলেন অজয় বিজয় বাতিজা
কোকা-কোলা’র দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া (এসডব্লিউএ) অঞ্চলের ফ্র্যাঞ্চাইজি অপারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন অজয় বিজয় বাতিজা। দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির সাথে অজয়ের ক্যারিয়ারের বয়স প্রায় ২৪ বছর। মার্কেটিং ও ফ্র্যাঞ্চাইজি বিষয়ে তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
১৯৯৯ সালে হিন্দুস্তান কোকা-কোলা বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (এইচসিসিবিপিএল)-এর ফ্রন্ট লাইন সেলস টিমের সাথে অজয়ের পেশাদার জীবনের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে বিভিন্ন ভূমিকায় ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছেন তিনি। ২০০৫ সালে তিনি সাবকো ভিয়েতনাম-এর মেকং ডেলটা অঞ্চলের আঞ্চলিক ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকালে তিনি বিক্রয় বাড়ানোর জন্য সেলস অপারেশন এবং রাউট-টু-মার্কেট (route-to-market) কৌশলের নেতৃত্ব দেন।
কোলা-এর ডিরেক্টর মার্কেটিং হিসেবে তিনি ভারতে ফেরত আসেন এবং যুগান্তকারী “শেয়ার আ কোক” ক্যাম্পেইনটি তার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। তিনি প্রথমবারের মতো সফলভাবে ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার (আইএনএসডব্লিউএ) বাজারে কোকা-কোলা জিরো সুগার চালু করেন। সমন্বিত মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে থামসআপ-কে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর ফলে এই ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।
২০১৮-২০২০ সালে বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার থাকাকালীন অজয় বটলিং পার্টনারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিকভাবে দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির ভেতর, কোকা-কোলা™’র শীর্ষ তিন বাজারের তালিকায় বাংলাদেশকে নিয়ে আসা। ২০২০ সালে তিনি সিনিয়র ডিরেক্টর — ফ্রন্ট লাইন মার্কেটিং হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই দায়িত্ব পালনকালে তিনি পোর্টফোলিও কৌশলকে গুছিয়ে তুলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্যিক ও বিপণন কার্যক্রম সম্পাদনের সুযোগ তৈরি করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি কোম্পানির জনপ্রিয় সঙ্গীত প্ল্যাটফর্ম ‘কোক স্টুডিও’-কে সফলভাবে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন। তার তৈরি “ইজ কুকিং” প্ল্যাটফর্মটি গ্রাহকদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। খাবারের সাথে কোকের অভিজ্ঞতাভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্মগুলো বিশেষ করে “কোলকাতা ইজ কুকিং” কোকা-কোলার প্রতি গ্রাহকদের ভালোবাসা ও আগ্রহ বৃদ্ধি করে।
এই নিয়োগের ব্যাপারে কোকা-কোলা’র ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সংকেত রায় বলেন, “অজয়ের ব্যবসা বিষয়ক জ্ঞান এবং তার গ্রোথ মাইন্ডসেটের কারণে তিনি ব্যবসাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম। তার বিচক্ষণ ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং সহযোগিতামূলক পদ্ধতির মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আমরা আশাবাদী।”
অজয় এনএমআইএমএস, মুম্বাই থেকে মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টে সফলভাবে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি এইচআর কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স থেকে বাণিজ্য স্নাতক।
কোকা-কোলা
বিগত পাঁচ দশক ধরে পৃথিবীকে চাঙ্গা করা ও সমাজে পরিবর্তন আনার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ। আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফ্যান্টা, কিনলে ওয়াটার, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো ও থামস-আপ কারেন্ট। কোম্পানি-মালিকানাধীন বটলিং প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) এবং দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির (টিসিসিসি) স্বাধীন/স্বতন্ত্র, অনুমোদিত ফ্র্যাঞ্চাইজি বটলার আবদুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল) নিয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ সিস্টেম গঠিত। এই সিস্টেম বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যথাক্রমে ৮০০ ও ২১,০০০ এর বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সারা দেশের মানুষদের জন্য পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম “উইমেন বিজনেস সেন্টার” এর লক্ষ্য নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ নারীর ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। “ওয়ার্ল্ড উইদাউট ওয়েস্ট” গড়ার বৈশ্বিক প্রতিজ্ঞার অংশ হিসেবে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কোস্টাল ক্লিনআপ প্রকল্পের গর্বিত অংশীদার কোকা-কোলা। এছাড়া, বারিন্দ অঞ্চলে পানির অপচয় রোধে আইডব্লিউইটি প্রকল্পে মিলিতভাবে কাজ করছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন (টিসিসিএফ)। টিসিসিএফ-এর সহায়তায় মহামারি চলাকালীন কমিউনিটিকে সাহায্য করছে কোম্পানিটি। যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫০ লক্ষ লোকের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখা সম্ভব হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)