“বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”
তারিক ইসলাম: সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই বিখ্যাত উক্তিটির সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। অর্থাৎ বন্যপ্রাণীরা সর্বদাই বনের শোভাবর্ধন করে। কিন্তু আজ এই বন্য প্রাণীদের অস্তিত্ব সংকটময়।
আর এই সংকটজনক পরিস্থিতি দূর করার জন্য ২০১৩ সালের ২০ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ৩রা মার্চ “বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস” হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮ তম সাধারণ অধিবেশনে বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ৩ মার্চ ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদগুলির প্রতি গণসচেতনা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের মূল লক্ষ্য।
প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের গবেষণামতে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩১টি। তবে এ সংস্থাটির দাবি বাংলাদেশে ১হাজার ৬০০ এর বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৯০টি একেবারে শেষ হওয়ার পথে।
বিপন্ন উপকূলের বন্যপ্রাণী। একটা সময় অহরহ বন্য প্রাণীর দেখা মিললেও এখন আর বন্যপ্রাণীদের দেখা মেলেনা। এখন আর বসন্তে কোকিলের কুহূকণ্ঠের ধ্বনি শোনা যায়না। পঁচা আর মরা কোন প্রাণী খেতে শকুন কিংবা কাক আসেনা। এসব বন্যপ্রাণী এখন বিলুপ্তির পথে।
নিষ্ঠুরভাবে বন উজাড়, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং পাখি শিকারিদের ফাঁদে উপকূল থেকে বন্যপ্রাণীদের আশংকাজনকভাবে বিলুপ্তি ঘটেছে।
বন উজাড়ের পাশাপাশি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে বেশি বয়সের গাছ না থাকা এবং খাদ্য সংকটে অস্তিত্ব সংকটে এসব বন্যপ্রাণী। সচেতনতা বৃদ্ধি করে এসব প্রাণীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে সবাইকে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)