বিরোধী দলের নেতাদের অধিকাংশই আ.লীগ সরকারের কেনা: রেজা কিবরিয়া
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার পুত্র ড. রেজা কিবরিয়ার রাজনীতিতে আসাটা ছিল হঠাৎ আলোর ঝলকানির মতো। অপরদিকে বিদায়টাও তার আচমকাই বলা চলে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গণফোরামে যোগ দেন তিনি। সেই ঐক্যফ্রন্টের ব্যানার থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনও করেন। তবে তিনি পরাজিত হন।
পরে সাবেক ডাকসু ভিপি নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিয়ে আহ্বায়কও হন তিনি। কিছুদিন না যেতেই নুরের সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়। এ বিরোধের একপর্যায়ে রেজা কিবরিয়া কিছুটা নিজেকে গুটিয়ে নেন রাজনীতি থেকে। পরবর্তীতে গণঅধিকার পরিষদ দুগ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। একটি অংশের নেতৃত্বে নুর, অন্য অংশের নেতৃত্বে রেজা কিবরিয়া। বর্তমানে রেজা কিবরিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় নেই। ছেড়ে দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের পদও।
হঠাৎ কেন রাজনীতিতে থেকে সরে গেলেন? -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে উঠাবসা করতে গিয়ে দেখলাম যে, তাদের মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। বিশেষ করে যাদের সঙ্গে কাজ করতাম, তাদের মধ্যেই অনেক ধরনের সমস্যা। তাদের সঙ্গে কাজ করা আমার কাছে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে। এর কারণ হলো-বিরোধী দলের নেতৃত্বের মধ্যে একটা বড় অংশ বর্তমান সরকারের কেনা এবং ভারতের ‘র’ এর মাধ্যমে কেনা।
তিনি বলেন, এটা আমার মনে হয়েছে কার সঙ্গে কী আলাপ করব এটা নিরাপদ কিনা, এটা নিয়ে আমি দ্বন্দ্বে থাকতাম।
অনেকে বলেন বিদেশি ও আওয়ামী লীগের চাপে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন? -জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, এটি সঠিক নয়। আওয়ামী লীগ ও বিদেশিদের চাপে আমি রাজনীতি ছাড়িনি। অবশ্য চাকরি করে যে টাকা সঞ্চয় করেছিলাম গত ৬ বছরে রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকটা কমে গেছে। আবার কাজ শুরু করব। তবে দেশে কাজ করা আমার জন্য অনেক কঠিন। এজন্য বিদেশে কাজ শুরু করব।
ড. কামালের সঙ্গে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন, তার সঙ্গে কেন দূরত্ব তৈরি হলো? -জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, আসলে ড. কামালের সঙ্গে দূরত্ব নয়। দূরত্ব হয়েছে তার দলের কিছু লোকজনের সঙ্গে। একটা ইস্যুতে গণফোরামের মধ্যে অনেক গণ্ডগোল হয়েছিল সেটা হচ্ছে, মোকাব্বের খান এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন উনার সংসদে যাওয়া নিয়ে। দল ভাঙনের জন্য এটিই মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)