অবশেষে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অবস্থান, মিছিল
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অবস্থান ও মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
রোববার দুপুরের দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।
বুয়েটে প্রবেশের পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ‘মৌলবাদের আস্তানা, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শিবিরের আস্তানা, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’- ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এমন স্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস সরগরম হয়ে ওঠে।
পরে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর মিছিল করতে করতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার নাটক বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা আজ এখানে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। বুয়েটের এই সিদ্ধান্ত মৌলিক অধিকার পরিপন্থি, সংবিধান পরিপন্থি, শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত।
এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়ার দাবি জানান সাদ্দাম।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, এই ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার নাটক বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় নাগরিক হিসেবে যাওয়ার অধিকার আমার হয়েছে। তাদের কাছে পারমিশন নিতে হবে? যে অধিকার আমাকে সংবিধান দিয়েছে তাকে আপনারা ঠুনকো বানিয়ে দেবেন এবং সেটা আমরা মেনে নেব, এই আশা যারা করছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। বুয়েট কি পাকিস্তান যে ভিসা-পাসপোর্ট দিয়ে পারমিশন নিয়ে ঢুকতে হবে?
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে: ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে নাটক বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
রোববার দুপুর ১২টায় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ।
সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমরা আজ এখানে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। বুয়েটের এই সিদ্ধান্ত মৌলিক অধিকার পরিপন্থি, সংবিধান পরিপন্থি, শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত।
এসময় তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘রাব্বির অপরাধ কী? সে ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিনে, যিনি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন, তার জন্মদিনে ইফতার বিতরণ করেছে। ২৬ মার্চ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছে। এই দেশের পতাকা, এই দেশের মানচিত্র এই দেশের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য যে সংগঠনের কর্মীরা রক্ত দিয়েছে, সেই সংগঠনের কর্মী হওয়ার কারণে কাউকে যদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় সেই এলাকাকেই নিষিদ্ধ করতে হবে।’
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, এই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার নাটক বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় নাগরিক হিসেবে যাওয়ার অধিকার আমার হয়েছে। তাদের কাছে পারমিশন নিতে হবে? যে অধিকার আমাকে সংবিধান দিয়েছে তাকে আপনারা ঠুনকো বানিয়ে দেবেন এবং সেটা আমরা মেনে নেব, এই আশা যারা করছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। বুয়েট কি পাকিস্তান যে ভিসা-পাসপোর্ট দিয়ে পারমিশন নিয়ে ঢুকতে হবে?’
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে ‘অন্ধকারের রাজনীতি’র চাষাবাদ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সাদ্দাম হোসেন।
এসময় তিনি বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালুর পাশাপাশি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেও কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে এর প্রতিবাদে টানা দুদিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার রাত দেড়টায় বুয়েটের মূল ফটক দিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন ছাত্রলীগের অন্তত ৭০-৮০ জন নেতাকর্মী। সাদ্দাম হোসেনও সেখানে ছিলেন। তারা ক্যাফেটেরিয়ার সেমিনার কক্ষে বৈঠক করেন, সেখানে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ছিল। মোটরসাইকেল, গাড়ি নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে ক্যাম্পাসে ‘শোডাউন’ করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ছাত্রলীগ নেতা ও বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রহিমের হল সিট বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)