মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ব্যাংকে গচ্ছিত টাকায় বাড়ছে শুল্ক

ব্যাংকে আমানতকারীদের বিষয়ে আগামী বাজেটে নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার ওপর আবগারি শুল্কের স্তর ও হারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এতে ব্যাংকে টাকা রাখার খরচ বাড়বে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৫৩তম বাজেট উত্থাপনকালে এ প্রস্তাব করেছেন নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবে করেছেন তিনি। জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

ব্যাংকে টাকা রাখার খরচের বিষয়ে সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তে ছোট আমানতকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবে না, প্রভাব পড়বে বড় আমানতকারীদের ওপর।

বর্তমানে এক লাখ পর্যন্ত ব্যাংক হিসাবের স্থিতিতে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হয় না। আবার এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা এবং পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়। এই দুটি স্তরে কোনো পরিবর্তন আসছে না। ব্যাংক হিসাবের টাকা বছরে অন্তত একবার এসব স্তর স্পর্শ করলে আবগারি শুল্ক দিতে হয়।

বর্তমানে ১০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত যে স্তরটি রয়েছে, সেটি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত গচ্ছিত টাকায় আগের মতোই তিন হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হবে। আর ৫০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক বসতে পারে।

১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান স্তরটিও ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ১ কোটি টাকা থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা এবং ২ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হতে পারে। এখন ১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত আমানতে ১৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক বসে।

কারও ব্যাংক হিসাবে বছরে একবার যদি স্থিতি ৫ কোটি টাকা অতিক্রম করে, তাহলে সেই আমানতের ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ ৪০ হাজার টাকা অর্থাৎ অপরিবর্তিত থাকছে।

বছরে একবার: প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কোনো ব্যাংক হিসাবে আমানতের পরিমাণ যদি একবার এক লাখ টাকা বা তার ওপরের স্তরগুলোর সীমা স্পর্শ করে, তাহলে নির্দিষ্ট হারে আবগারি শুল্ক দিতে হয়। একাধিকবার স্পর্শ করলেও একবারই আবগারি শুল্ক কাটা হয়। কোনো হিসাবে এক লাখ টাকার কম থাকলে কোনো আবগারি শুল্ক কাটা হয় না।

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বশেষবার ব্যাংকে থাকা টাকার ওপর আবগারি শুল্কের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা জানান, অপেক্ষাকৃত কম টাকার হিসাবধারীদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার পাশাপাশি বেশি টাকার হিসাবধারীদের কাছ থেকে বেশি আবগারি শুল্ক আদায় করতে চায় সরকার।

নানা সংকটের মধ্যেও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন নতুন অর্থমন্ত্রী। এজন্য তার বাজেট প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’।

এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। এটি চলতি (২০২৩-২৪) সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। এবার ব্যয় বাড়ছে ৮২ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। বড় অঙ্কের ব্যয় মেটাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এটি অর্জন করতে চলতি সংশোধিত রাজস্ব থেকে ৬৬ হাজার কোটি টাকা বেশি আহরণ করতে হবে, যা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি কম ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। তবে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাত শতাংশের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং আগামী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ হতে পারে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলকাতায় চিকিৎসক হত্যার মামলায় আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ ও ওসি গ্রেফতার

অবশেষে ভারতের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণবিস্তারিত পড়ুন

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

এম ওসমান, বেনাপোল (যশোর): পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর)বিস্তারিত পড়ুন

ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল, পাঠালো ফেরত

ভারতে ঘুরতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারত বিভাগের ঘোষণা দেওয়ায় আলমগীর শেখ (৩৫)বিস্তারিত পড়ুন

  • মুরগি-ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করলো সরকার
  • সরকারি অর্থের অপচয় কমানোর আহবান অর্থ উপদেষ্টার
  • পেঁয়াজ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ শিথিল ভারতের, সর্বনিম্ন মূল্যের শর্ত প্রত্যাহার, কমেছে শুল্কও
  • হাসিনার ফ্লাইট যেভাবে রাডারের বাইরে রাখা হয়েছিলো
  • কর্মবিরতিতে ২৯ রোগীর মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ দেবেন মমতা
  • ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারবো না, আমাদের জনগণ খাবে : মৎস্য উপদেষ্টা
  • জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল
  • ‘যুদ্ধ পরিচালনা করার মতো অস্ত্র’ উদ্ধার হলো মণিপুরে
  • শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস: নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি, বললেন দেশের কাছাকাছি আছি, যাতে চট করে ঢুকে যেতে পারি
  • পদত্যাগে প্রস্তুত মমতা, বাংলার মানুষের কাছে চাইলেন ক্ষমা
  • মোদির বার্তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টার
  • ‘বিচার চাই, চেয়ার নয়’, মমতার বক্তব্যের পাল্টা মন্তব্য চিকিৎসকদের