রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

অল্প সময়ে দেশে যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে রাসেল ভাইপার

এক সময়ের বিলুপ্ত বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার হুট করেই দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত রাসেল ভাইপারের অস্তিত্ব মিলেছে ২৭টি জেলায়। সরকারের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে এই সাপ বেশি ছড়াচ্ছে। কিন্তু কীভাবে ফিরে এলো এই সাপ? কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে রাসেল ভাইপার?

বাংলাদেশে রাসেল ভাইপারের পুনরাবির্ভাব ও এই সাপ থেকে মানুষের ঝুঁকির বিষয়ে গবেষণা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহসান। ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ২০টি রাসেল ভাইপার দংশনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে করা গবেষণাটি ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় জার্নাল অব দি এশিয়াটিক সোসাইাটি, বাংলাদেশে।

সেই সময়কার গবেষণায় উঠে আসে, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৭টি জেলাতেই (বর্তমানে যা ২৭ জেলায়) রাসেল ভাইপারের উপস্থিতি রয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেই এই সাপের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

অধ্যাপক ফরিদ আহসান ধারণা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প সংখ্যক রাসেল ভাইপার সবসময়ই ছিল। কিন্তু বংশবিস্তারের মতো পরিবেশ ও পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকায় এই সাপের উপস্থিতি তেমন একটা বোঝা যায়নি।

অধ্যাপক ফরিদ আহসান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে এই সাপের সংখ্যা বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল ফলানো। আগে কৃষিজমিতে বছরে একবার বা দুইবার ফসল ফলানো হত এবং বাকি সময় পানির অভাব থাকায় জমি পরিত্যক্ত পড়ে থাকতো। ৯০’ এর দশকে সেচ পদ্ধতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা বছরে দুই থেকে তিনটি ফসল ফলানো শুরু করেন এবং জমি কম সময় পরিত্যক্ত থাকতে শুরু করে।

তিনি বলেন, সারা বছর ক্ষেতে ফসল থাকায় জমিতে ইঁদুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা এই সাপের প্রধান খাদ্য। আর ইঁদুর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাপ পর্যাপ্ত খাদ্য পেতে শুরু করে এবং বংশবিস্তারের জন্য যথাযথ পরিবেশ পেতে থাকে।

ঘন ঝোপ আর পরিত্যক্ত জমি অপেক্ষাকৃত কমে যাওয়ায় এই সাপ কৃষি জমিতেই থাকে, যার ফলে যারা মাঠে কৃষিকাজ করেন তারা রাসেল ভাইপারের দংশনের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়ে থাকেন। বেশির ভাগ সাপ ডিম পাড়লেও রাসেল ভাইপার বাচ্চা দেয়। গর্ভধারণ শেষে স্ত্রী রাসেল ভাইপার সাধারণত ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেওয়ার রেকর্ডও আছে।

অধ্যাপক ফরিদ আহসান বলেন, বর্ষাকালে নদীর পানি বাড়ার ফলে ভারতের নদ-নদী থেকে ভেসেও এই সাপ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এখন পর্যন্ত পদ্মা অববাহিকায় এই সাপ সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। আমরা দেখেছি যেসব জায়গায় এই সাপ পাওয়া গেছে তার অধিকাংশ জায়গাতেই কচুরিপানা রয়েছে, আবার কচুরিপানার মধ্যেও এই সাপ পাওয়া গেছে। কাজেই আমরা ধরে নিতে পারি কচুরিপানার ওপরে ভেসে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় এই সাপ বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছেছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ভারতে বসে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছেন শেখ হাসিনা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু ভারতেবিস্তারিত পড়ুন

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার করবো: সিইসি

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, অবাধ,বিস্তারিত পড়ুন

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস বললেন ‘আমরা আনন্দিত ও গর্বিত’

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যোগদানের সুযোগ পাওয়ায় আনন্দবিস্তারিত পড়ুন

  • খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় ড. ইউনূস
  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট
  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
  • নতুন সিইসি, কে এই নাসির উদ্দীন?
  • চাইলেই যাওয়া যাবে না সেন্টমার্টিন, লাগবে ট্রাভেল পাস
  • নতুন সিইসি নাসির উদ্দীন, ৪ কমিশনার নিয়োগ
  • আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম
  • বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভুটানের রাষ্ট্রদূত
  • অভ্যুত্থানে আহত-শহীদদের তালিকা প্রকাশ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে : সারজিস আলম
  • সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
  • আগামী নির্বাচনের সময় জানালেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত