রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ছ’মাস না পেরোতেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফাটল, চুইয়ে পড়ছে পানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উদ্বোধনের পর ৬ মাসও পেরোলো না। প্রথম বর্ষাতেই ‘বিপর্যয়’ ভারতে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। মন্দিরের ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। সেখান দিয়ে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়তে শুরু করেছে। বৃষ্টির পর থেকেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

প্রবল বৃষ্টিতে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বন্যা এবং পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে।

এর মধ্যেই সোমবার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জানান, গত শনিবার মধ্যরাতে প্রথম ভারী বর্ষণ হয় অযোধ্যায়। তারপরই মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদে বড় ফাটল দেখা যায়।

সেখান থেকে পূজারির বসার জায়গায় ঝরঝর করে পানি পড়তে শুরু করে। তাছাড়া, ভিআইপি দর্শনের জন্য যেখানে সবাই সমবেত হন সেখানেও বৃষ্টির পানি পড়ছিল।

মন্দির নির্মাণে গাফিলতির অভিযোগ করে আচার্য দাস বলেন, মন্দির চত্বর থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। উপযুক্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা না-থাকার কারণে এই বিপর্যয়, দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষের।

এনডি টিভি জানিয়েছে, মন্দির ট্রাস্ট সূত্রে খবর, ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ার ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানানোর পর মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র মন্দিরে পৌঁছে ছাদ মেরামত ও পানি রোধ করার নির্দেশ দেন।

মন্দির নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলার সময় মিশ্র বলেন, প্রথম তলার কাজ চলছে এবং এই বছরের জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে।

পুরহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে, সারাদেশের বিশিষ্ট প্রকৌশলীরা রাম মন্দির তৈরির কাজেন সামিল হয়েছিলে। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে মন্দিরের। কিন্তু, তারপরও এমন বিপর্যয় কেন ?

এদিকে, শনিবার রাতের বৃষ্টির পর থেকে রামপথ সড়ক ও এর আশপাশে পানি জমে যায়। নর্দমার পানি ঢুকে পড়ে এলাকায়।

পানি ভেসে যায় পানিওয়ানপুরা থেকে হনুমানগড়ি ভক্তিপথ এবং তেধি বাজার এলাকা।

নর্দমার পানি বাড়িতে ঢুকে পড়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অযোধ্যার মেয়র গিরিশ পতি ত্রিপাঠী বলেন, “সকাল থেকে আমি ড্যামেজ কন্ট্রোল শুরু করেছি। বাড়িগুলো থেকে পানি সরানোর জন্য পৌরসভার একাধিক দল মোতায়েন করেছি।

তবে পূর্ত দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও ফলপ্রসূ হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধীদল কংগ্রেস। তারা বিজেপি’র বিরুদ্ধে শহরে মন্দির নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে।

“শহিদদের কফিন হোক বা ভগবানের মন্দির, এ সবই বিজেপি’র কাছে দুর্নীতির সুযোগ হয়ে উঠেছে” উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস প্রধান অজয় রায় সোমবার এক বিবৃতিতে একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে বিশ্বাস ও পবিত্রতার প্রতীকও তাদের কাছে লুটের সুযোগ মাত্র।

শুধু তাই নয়, অযোধ্যার উন্নয়নের ঢোল পিটিয়ে ৬২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামপথের অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে।

অজয় রায় বলেন, বিজেপি শুধুমাত্র নির্বাচনী সুবিধা পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে মন্দির নির্মাণ করে অযোধ্যাকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা : বাংলাদেশের বক্তব্য নিয়ে ভারতের বিবৃতি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুবিস্তারিত পড়ুন

ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহবান ঢাকার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতের চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতেরবিস্তারিত পড়ুন

  • বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না, এত তাড়াহুড়োর কী ছিল: মোদিকে মমতার প্রশ্ন
  • মোদিকে ড. ইউনূসের সঙ্গে চুক্তি করতে বললেন মমতা
  • উত্তেজিত হলে হারবেন, শান্ত থাকলে জিতবেন: ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মমতা
  • জামায়াতের ঘোর বিরোধী, বিএনপিকে নিয়ে ভারত কী ভাবছে?
  • পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বাংলাদেশের থেকেও খারাপ: শুভেন্দু
  • ভারত থেকে এলো ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল
  • ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের সমস্যা হবে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ভারতের চেয়ে বেশি কেউ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না : জয়শঙ্কর
  • বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত
  • বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন না হলে যেসব ক্ষতির আশঙ্কা ভারতের
  • ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার আহবান ড. ইউনূসের
  • নতুন শুল্ক আরোপ : যুক্তরাষ্ট্রে ভারত-ভিয়েতনামের দেনদরবার!