ভিসা জটিলতায় ফাঁকা বেনাপোল ও ভোমরা ইমিগ্রেশন!
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেনাপোল-পেট্টাপোল ও ভোমরা-ঘোজাডাঙ্গা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত কমে গেছে। ফলে বিপাকে পড়ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাসহ পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
ভ্রমন ভিসা বন্ধসহ মেডিকেল ও বিজনেস ভিসা সীমিত করায় যশোরের বেনাপোল ও সাতক্ষীরার ভোমরা চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার এলাকা ফাঁকা হয়ে পড়েছে। অনিশ্চিত জীবন যাপনে ধাবিত হতে শুরু করেছে চেকপোস্ট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রমখাতের মানুষদের। ইতোমধ্যে পরিবহন ও এ সংক্রান্ত নানান ব্যবসায়ও নেমেছে ধ্বস। বেকার হয়ে পড়তে শুরু করেছেন শ্রমিকেরা। চেকপোস্ট এলাকার দোকানগুলোতে নেই বেচাকেনা। ইমিগ্রেশন এলাকায় বিরাজ করছে অস্বস্তিকর পরিবেশ। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে পেশা পাল্টাচ্ছেন অনেকে।
বেনাপোল ও ভোমরা থেকে ভারতের বাণিজ্য শহর কলকাতায় দূরত্ব মাত্র ৮০ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হওয়ায় প্রতিদিন বেনাপোল-পেট্টাপোল ও ভোমরা-ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দর দিয়ে কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরই ভ্রমন ভিসা বন্ধ করে ভারতীয় হাইকমিশন। বিজনেস ও মেডিকেল ভিসাও করা হয়েছে অত্যন্ত সীমিত। ফলে কমে গেছে যাতায়াত। গত কয়েক দিনে যাতায়াত করেছে অল্প সংখ্যক মানুষ। ভ্রমন ভিসা প্রদানের শেষ সময় আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারীর পর যাত্রী যাতায়াত একেবারেই সীমিত হয়ে পড়বে বলে জানান ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্টরা।
বন্দর ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ভিসা জটিলতায় কমেছে যাত্রী যাতায়াত। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে দু’দেশের সরকার।
ভিসার বিষয়টি উভয় দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বলে জানান তারা।
ভুক্তভোগী যাত্রীসহ স্থানীয়রা ভিসা প্রদানে দু’দেশের সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)