বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানের জ্বালানি সুইচ বন্ধ করে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন: রিপোর্ট


গত মাসে ভারতের গুজরাট থেকে উড্ডয়নের পর ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল উভয় ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচ বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্তের বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক মূল্যায়নের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার’ পরিচালনাকারী দুইজনের মধ্যে একজন ফার্স্ট অফিসার আরেকজন ক্যাপ্টেনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, কেন তিনি উড্ডয়নের পরে সুইচগুলোকে ‘কাটঅফ’ অবস্থানে সরিয়ে দিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ঘটনার সময় ফার্স্ট অফিসার বিস্ময় এবং আতঙ্ক প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তখন ক্যাপ্টেন বেশ শান্ত ছিলেন।
১২ জুনের ওই দুর্ঘটনায় ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যাদের মধ্যে মাত্র একজন বিমান থেকে লাফিয়ে পড়ে বেঁচে যান। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ভূমিতে বিস্ফোরণে ১৯ জন নিহত হন।
বিমানটি পরিচালনা করছিলেন প্রবীণ পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার।
প্রতিবেদনটি পর্যালোচনাকারী মার্কিন পাইলটরা পরামর্শ দিয়েছেন, ক্লাইভ কুন্ডার – যিনি সক্রিয়ভাবে বিমানটি চালাচ্ছিলেন, সম্ভবত নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। অন্যদিকে পর্যবেক্ষণকারী ক্যাপ্টেন সাভারওয়াল সুইচগুলো হেরফের করছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সেকেন্ডের ব্যবধানে সুইচগুলো বন্ধ করা হয়েছিল এবং প্রায় দশ সেকেন্ড পরে আবার চালু করা হয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
তবে ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) বৃহস্পতিবার ‘নির্বাচিত এবং অযাচাইকৃত প্রতিবেদনের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর’ বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়েছে।
তদন্ত ব্যুরো বলেছে, ‘আমরা জনসাধারণ এবং গণমাধ্যম উভয়কেই এমন অকাল বর্ণনা প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি, যা তদন্ত প্রক্রিয়ার অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ণ করার ঝুঁকি তৈরি করে।’
AAIB-এর তদন্ত এখনো সম্পন্ন হয়নি উল্লেখ করে সংস্থাটি বলেছে, ‘চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে মূল কারণ এবং সুপারিশ থাকবে।’
প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ বা জ্বালানি সুইচগুলো কেন বন্ধ করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়নি।
কিছু মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যদি ঘটনাটিতে কোনো অপরাধের সম্ভাবনা থাকে, তাহলে নিরাপত্তাজনিত দুর্ঘটনার পরিবর্তে অপরাধগুলো তদন্তের আওতায় আনা উচিত।
এই সপ্তাহে এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন বিমান সংস্থার কর্মীদের দুর্ঘটনা সম্পর্কে ‘আগাম অনুমান’ না করার পরামর্শ দিয়েছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন, তদন্ত এখনো চলছে। উইলসনও পাইলটদের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
এয়ার ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি। জ্বালানির মান নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি এবং টেক-অফ রোলে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

একই রকম সংবাদ সমূহ

ভারতসহ ৫ দেশের সরকারকে আম উপহার পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে ভারত, পাকিস্তানসহ পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রবিস্তারিত পড়ুন

ভারতে হা*মলার ভয়ে হেলমেটে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে ঘুরছেন যুবক!
মাথায় হেলমেট লাগিয়ে তাতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে রাস্তায় ঘুরছেন এক যুবক। সামাজিকবিস্তারিত পড়ুন

মোদিকে আম পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য এক হাজার কেজি হাড়িভাঙাবিস্তারিত পড়ুন