শুধু আইপিএল নয়, বিশ্বের সেরা দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স!


ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের ১৩ আসরের ইতিহাসে দ্বিতীয় কোনো দলের চারটি শিরোপাও নেই। সেখানে মঙ্গলবার রাতে নিজেদের পঞ্চম শিরোপা জিতে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি শিরোপা রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসের কেবিনেটে। এ পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, আইপিএলে সেরা দল একটিই- মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
দলটির অন্যতম সেরা তারকা কাইরন পোলার্ডের ভাষ্য অবশ্য ভিন্ন। তার মতে, শুধু আইপিএল নয়, পুরো বিশ্বেরই সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি দল মুম্বাই। এর পেছনে সুস্পষ্ট কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এ মারকুটে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। দিল্লি ক্যাপিট্যালসকে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা জেতার পর এ কথা বলেছেন পোলার্ড।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অফিশিয়াল ব্রডকাস্টারদের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে পোলার্ড বলেন, ‘এটা দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। এই শিরোপা অনেক বড় আমার কাছে। গত ১১ বছর ধরে এই দলে আমি। এরই মধ্যে পেলাম পঞ্চম শিরোপা।’ মুম্বাইয়ের হয়ে পাঁচটি আইপিএল শিরোপার সঙ্গে ২০১১ ও ২০১৩ সালের আসরে দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন পোলার্ড।
অবশ্য শুধু মুম্বাইয়ের হয়ে এই ৭ শিরোপাই নয়, নিজের ক্যারিয়ারে আরও অন্তত ৮টি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পোলার্ড। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ (বিপিএল) খেলেছেন অগণিত ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে, পেয়েছেন নানান রকমের অভিজ্ঞতা। তবু সবমিলিয়ে তার কাছে বিশ্বের সেরা দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সই।
কেন এমনটা মনে করেন তিনি? উত্তর দিয়েছেন পোলার্ড নিজেই, ‘এত এত শিরোপা, সবমিলিয়ে দলের কার্যব্যবস্থা এবং এই দল থেকে যত বেশি খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে, ভারতের জার্সিতে কিংবা নিজ নিজ দেশের হয়ে; আমার তো মনে হয় আপনারও এটা বলতেই হবে যে মুম্বাই বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি দল।’
আইপিএলে মুম্বাইয়ের প্রথম শিরোপা জয়ের অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন কাইরন পোলার্ড। ২০১৩ সালের সেই আসরের ফাইনালে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। এছাড়া ২০০৯ থেকে দলটির সঙ্গে থাকায় সম্পৃক্ততাও অনেক বেশি পোলার্ডের। তবু এখনও মুম্বাইয়ে হয়ে খেলা যে কত বড় চাপের কাজ, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ভারতের তিন তারকা রোহিত শর্মা, জাসপ্রিত বুমরাহ ও হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে চলতি মৌসুমে আবার যোগ হয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট, সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিশানের মতো পারফরমাররা। দলে পারফরমার বেশি থাকলে কাজের পরিমাণও যে অনেক বেড়ে যায়, সেদিকেও আলোকপাত করেছেন পোলার্ড। এসবের বেশিরভাগই বাইরে থেকে বোঝা যায় না।
পোলার্ডের ভাষ্য, ‘পর্দার আড়ালে অনেক কাজ করতে হয়। সেসব প্রস্তুতি, পরিকল্পনা কেউই দেখতে পায় না। এরপর আবার সেগুলো যথাযথভাবে মাঠে বাস্তবায়নও করতে হয়। এটা অবশ্যই চাপ। তবে মুম্বাইয়ের বড় ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেললে আপনার শুধু উন্নতিই হবে, ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকেও। সবকিছু ইতিবাচকভাবে নেয়াও একটা বড় বিষয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করি, প্রতিটা চাহিদা পূরণের চেষ্টা থাকে, যেন দল হিসেবে সবকিছু অর্জন করা যায়। ওপেনার, মিডলঅর্ডার, ফিনিশার, ডেথ বোলার- সবকিছুর জন্য আলাদা আলাদা করে ভাবা হয়। এক্ষেত্রে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা না প্রকাশ করলেই নয়। তারাও পর্দার আড়ালে অনেক কাজ করে থাকেন।’

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
