‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে উদ্বেগের কারণ নেই’


মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে বর্বর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর কেন করা হচ্ছে- তার যৌক্তিকতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে গতকাল এক ভার্চুয়াল বৈঠকে জেনেভায় জাতিসংঘ দফতরে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
এই স্থানান্তরের পেছনে সীমিত জায়গায় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান, জীবন-জীবিকার অনিশ্চয়তা, স্থানীয় আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত অবস্থার চরম বিপর্যয় এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও উন্নত জীবনমান, জীবিকা ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ইচ্ছায় ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
বৈঠকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বিভিন্ন রিপোর্টে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সন্তোষ প্রকাশের বিষয়টির প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাষ্ট্রদূত।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে গত তিন বছরেও রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারের রাখাইনে যথাযথ পরিবেশ তৈরি এবং রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ সমস্যার টেকসই সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আসিয়ান ও মিয়ানমারে বিনিয়োগকারীসহ সব দেশের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান করার পক্ষে একমত পোষণ করে হাইকমিশনার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
