বিজয়ী ওই দুই কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন ২নং ওয়ার্ডের (তুলশীডাঙ্গা পূর্ব ও বাজার) আসাদুজ্জামান তুহিন ও ৩নং ওয়ার্ডে (গদখালী) রফিকুল ইসলাম।
পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে আসাদুজ্জামান তুহিন পেয়েছেন ৮৩৯ ভোট আর উটপাখি প্রতীক নিয়ে রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৬০৬ ভোট। এনিয়ে রফিকুল ইসলাম পরপর তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারী) সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক ভোটারদের উপস্থিতিতে কলারোয়া পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রার্থীদের নানান অভিযোগও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন অভিযোগে দপুরের আগেই মেয়র প্রার্থী বিএনপি’র ধানের শীষের শেখ শরীফুজ্জামান তুহিন ও স্বতন্ত্র জগ প্রতীকের নার্গিস সুলতানা পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। একই সময় ২নং ওয়ার্ডের ৩জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩নং ওয়ার্ডের ৩জন কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোট বর্জন করা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে আসাদুজ্জামান তুহিন ও রফিকুল ইসলামও ছিলেন। ভোট বর্জন ঘোষণা দেয়ার সময় তারা কেঁদে ফেলেন, তাদেরকে হাহুতাশ করে আষ্ফালন করতে দেখা যায়।
তবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েও সন্ধ্যায় ঘোষিত ফলাফলে ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের রফিকুল ইসলাম ও ২নং ওয়ার্ডের পাঞ্জাবি প্রতীকের আসাদুজ্জামান তুহিন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন।
জানা গেছে, ২নং ওয়ার্ডে (তুলশীডাঙ্গা পূর্ব ও বাজার) বিজয়ী হয়েছেন পাঞ্জাবি প্রতীকের আসাদুজ্জামান তুহিন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৩৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পানির বোতল প্রতীকের সাঈদুজ্জামান পেয়েছেন ৬১৮ ভোট। অপর প্রার্থী ডালিম প্রতীকের শেখ বদরুজ্জামান বদি ২৫৩ ভোট, গাজর প্রতীকের আব্দুল হাকিম ৫৪ ভোট, ব্লাক বোর্ড প্রতীকের এসএম কামরুজ্জামান বাবু ২৭ ভোট ও উটপাখি প্রতীকের শেখ রবিউল ইসলাম ৩৭ ভোট পেয়েছেন।
৩নং ওয়ার্ডে (গদখালী) ৬০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর উটপাখি প্রতীকের রফিকুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ডালিম প্রতীকের এএসএম এনায়েত খান টুন্টু পেয়েছেন ৫৯৫ ভোট। অপর প্রার্থী পাঞ্জাবি প্রতীকের আসাদ খান ১০৯ ভোট, পানির বোতল প্রতীকের মুজাহিদুল ইসলাম ১৬৮ ভোট পেয়েছেন।
৩১ তারিখ বিকালের দিকে কলারোয়া পৌর নির্বাচনের দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট থেকে ৩ নং গদখালি ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম তার ফলাফলের সরকারী কপি বুঝে নেন।
নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম সাংবাদিককে বলেন- ভোটের দিন সকালের দিকে ভোট শুরু হওয়ার প্রথমেই নির্বাচনী পরিবেশ অনেকটাই এলোমেলো দেখে হতাস হয়েছিলাম। সেকারণেই আমি সাংবাদিক সন্মেলন করে মৌখিক ভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পরক্ষনেই আমি আবার সাংবাদিক সম্মেলনে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। এর পরও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জনগনের দেওয়া রায় না মেনে সরকারের নির্বাচণ পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ করতে কোট- কাচারি ও হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলতে চাই জনগনের রায় মেনে আসুন ৩ নং ওয়ার্ড তথা কলারোয়া পৌরসভার উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে কাজ করি।