চুলে কলপ, গোঁফে ছাঁট; তারপরও ধরা সাহেদ
বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম চুলে রঙ করে গোঁফ ছোট করে বোরকা পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টায় ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
মহামারীকালে রিজেন্ট হাসপাতালের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর ফাঁসের পর পালিয়ে যাওয়া এর চেয়ারম্যান সাহেদকে এক সপ্তাহ পর বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তে ধরা পড়েন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক পরিচয়ে দাপট দেখানো বিশালবপু সাহেদ কাঁচাপাকা চুল আর বড় গোঁফ নিয়ে হাজির হতেন বিভিন্ন টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠানে।
তবে গ্রেপ্তারের সময় তার চেহারায় ভিন্নতা দেখা যায়।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি চুলে কলপ করিয়েছিলেন এবং গোঁফও ছেঁটেছিলেন।
“বোরকা পরিহিত অবস্থায় নৌকায় করে পাশের দেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। চেহারা পরিবর্তন করার জন্য সে তার চুলও কালো করে ফেলেছিল।”
দেবহাটা সীমান্তবর্তী কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাহেদকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে গুলিসহ একটি ‘অবৈধ অস্ত্র’ পাওয়া গেছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা সারওয়ার।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, দালালের মাধ্যমে লবঙ্গবতী নদীর ইছামতিখাল দিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান।
“গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ২টা থেকে ওই এলাকসয় অভিযান শুরু করেন র্যাব সদস্যরা। কিন্তু সে ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করায় গ্রেপ্তার করতে একটু সময় লেগেছে।”
গ্রেপ্তারের পর সাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে। তাকে উত্তরার র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়ার পর উত্তরার একটি বাড়িতে অভিযান শুরু করেছে র্যাব। সেটি সাহেদের আরেকটি অফিস বলে র্যাব জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসার নামে রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্য হওয়ার পর সাহেদের নানা প্রতারণার খবর ইতোমধ্যে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা এবং রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিল র্যাব।
ওই অভিযানের পর র্যাবের করা মামলায় বলা হয়, “এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ নিজেকে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে সে একজন ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু ও পাষণ্ড।”
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)