দেশের স্কুল-কলেজ খুলছে ৩০ মার্চ
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহ আগামী ৩০ মার্চ ২০২১ তারিখে খুলে দেয়া হবে।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত স্কুল-কলেজ খোলার জন্য পরিবেশ পর্যালোচনা করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে। ৫ম, ১০ম ও ১২শ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস প্রতিদিন হবে। আর অন্যন্য শ্রেণির ক্লাস প্রথমে সপ্তাহে একদিন হবে। পরে তা দুই দিন হবে। আর পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। আর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ক্লাস শুরু হলেও প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে না।
সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা, দীপু মনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা ৩০ মার্চের মধ্যে শিক্ষক কর্মচারীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসবো।
মন্ত্রী আরও বলেন, ১০ম ও ১২শ শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে ছয় দিন হবে। বাকি শ্রেণির ক্লাস প্রথমে সপ্তাহে একদিন হবে। পরে সপ্তাহে দুই দিন হবে। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে।
রোজার ছুটি পুরো রোজা থাকবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, রোজায়ও ক্লাস থাকবে। শুধু ঈদের সময় বন্ধ থাকবে।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলি এরপর ৬০ কর্মদিবস ক্লাস হয়েই এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে ওই সভায় স্বারষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় একবছর ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ২৪ মে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও স্কুল-কলেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ২৮ ফেব্রুয়ারি স্কুল-কলেজের ছুটি শেষ হওয়ার কথা।
তবে মহামারির প্রকোপ কমে যাওয়ায় কবে থেকে স্কুল-কলেজ খুলবে তা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধানের সেই নির্দেশে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। দেশে গত ৮ বছরের মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী, অষ্টমের সমাপনী ছাড়াও এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হলেও প্রাথমিকের অন্যান্য শ্রেণিগুলোয় পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আর মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষা স্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনার্স ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিতে অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঈদের পর ২৪ মে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার প্রকোপ দেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্কুল-কলেজ খুলতে পর্যালোচনা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্যও ৯ মাসে শেষ করার মত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)