চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না
চিকিৎসকদের আবার মুভমেন্ট পাস লাগবে কেন: ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ
কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। এই লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে সাধারণ নাগরিকদের বের হতে হলে, পুলিশের কাছ থেকে নিতে হচ্ছে মুভমেন্ট পাস।
কিন্তু চলমান লকডাউনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন একাধিক চিকিৎসক।
মুভমেন্ট পাস না থাকায় কারও কারও বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ।
এতে করোনার এ দুঃসময়ে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
যদিও চিকিৎসক ও সাংবাদিকসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না বলে আগেই জানানো হয়েছিল।
কিন্তু মুভমেন্ট পাসের আওতামুক্ত হওয়া সত্ত্বেও লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার সকালে কর্মস্থলে যেতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন একাধিক চিকিৎসক।
তারা বলছেন, চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড প্রদর্শনের পরও তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়- ‘আপনি যে ডাক্তার তার প্রমাণ কী?’
এ প্রসঙ্গে ইউজিসির অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘শুনেছি অনেক চিকিৎসক নাকি আজকে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাস্তায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাদের কাছে নাকি মুভমেন্ট পাস চাওয়া হয়েছে। কেউ কেউ আবার নাকি মামলার শিকারও হয়েছেন। পরিচয় দেওয়ার পরও তার নামে মামলা দেওয়া উচিত হয়নি। যেহেতু তিনি জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে পড়েন।’
তিনিআরো বলেন,’…… সত্যি কথা বলতে কী, এটা ঠিক না। হাসপাতালে জরুরি বিভাগ তো খোলা, সেই হিসেবে চিকিৎসকরা তো অবাধে কর্মস্থলে যেতে পারার কথা। তা না হলে তারা এতো রোগীর চিকিৎসা কীভাবে দেবেন? তারা যে কষ্ট করে যাচ্ছেন, এটাই তো বেশি। আর যেন এমন না হয়, তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আশা করি, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’
সৌজন্যে: বিডি প্রতিদিন
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)