কলারোয়ায় করোনায় ক্রেতা বিক্রেতাদের লুকোচুরি খেলা, থেমে নেই পার্লারও!
কলারোয়ায় করোনায় চলছে ক্রেতা বিক্রেতাদের লুকোচুরি খেলা। বাইরে বন্ধ, ভিতরে খোলা।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার দেশব্যাপী লকডাউন দিয়েছে জনগণের জীবন সুরক্ষার্থে।
প্রথম দফার পর টানা দ্বিতীয় দফায় দ্বিতীয় সপ্তাহে লকডাউনের শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
লকডাউনে প্রথম এক-দুই দিন কড়াকড়ি ও সাধারণ মানুষের লকডাউন কিছুটা মানতে দেখা গেলেও গত কয়েকদিন লুকোচুরি খেলায় মেতেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই দোকানদাররা তাদের দোকানের শাটার নামিয়ে দিচ্ছেন। আবার ম্যাজিস্ট্রেট কিম্বা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শাটার পরিপূর্ণ না খুললেও অর্ধেক কিংবা সামান্য একটু খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
দোকানের ভিতরে ক্রেতাদের ঢুকিয়ে শাটার বন্ধ করে কেনাবেচা করছেন।
অপরদিকে, ক্রেতারাও অবস্থা বুঝে দোকানের ভিতরে ঢুকছেন। মহিলা সহ অনেক ক্রেতাদের দোকানের আশপাশে অবস্থান নিতেও দেখা যাচ্ছে। অনেককে আশপাশের অলিগলিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। টহল পুলিশ বা প্রশাসনের লোক চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুযোগ বুঝে তারা তাদের প্রয়োজনীয় দোকানে ঢুকে পড়েছেন।
বিষয়টি যেনো বাইরে বন্ধ, ভিতরে খোলা।
এ যেন ছোটবেলার সেই পুলিশ-চোরের খেলা অর্থাৎ লুকোচুরি খেলা।
সরোজমিনে এমনটি দেখা গেছে।
ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানের পাশাপাশি কসমেটিক্স, কাপড়, জুতা ও অন্যান্য দোকানেও এমনই চিত্র।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই লুকোচুরি খেলায় পুরুষের চেয়ে বিপুল সংখ্যক মহিলা ক্রেতাদের বেশি দেখা যাচ্ছে।
আর সন্ধার পরে পৌরসদরের কয়েকটি স্থানের চায়ের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তবে এই লুকোচুরি খেলায় বেশিরভাগ নারী-পুরুষ সহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরিধান করতে দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, তাদের প্রয়োজনের তাগিদেই বাধ্য হয়ে কেনাকাটা করতে আসছেন।
আর বিক্রেতারা বলছেন, কয় দিন দোকান বন্ধ রাখবো? তাদের তো চলবে না। এ কারণে তারাও বাধ্য হয়ে চুপিসারে দোকানে বেচাকেনা করছেন।
এদিকে জানা গেছে, এসকল দোকানের পাশাপাশি থেমে বা বসে নেই বিউটি পার্লারও। কলারোয়া বাজারের বিভিন্ন বিউটি পার্লারে দেদারছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো ভবনের ঘরের মধ্যে, আবাসিক ভবনে, দ্বিতল বা তিন তলা ভবনে হওয়ায় এটি প্রশাসনের নজরে আসছে না।
নানান বয়সী মেয়ে মেয়ে এবং মহিলারা রীতিমত লকডাউনের মধ্যেও করোনার চেয়ে পার্লারে গিয়ে রূপ সচেতনতাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)