সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যানের মতবিনিময়


ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সাথে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৯ মে) সকাল ১১ টায় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক মো. আনিসুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক আজাদ হোসেন বেলাল, যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুল, সদস্য জিএম মহব্বত হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, মুনসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নাগরিক নেতৃবৃন্দকে জানান, প্রত্যেক বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়। এবারও ইতিপূর্বের ঝড়ের ন্যায় ব্যতিক্রম নয়।
হরিষখালী, বন্যতলা ও কুড়িকাওনিয়া ভেড়িবাঁধ বাঁধ ভেঙ্গে ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬ টি ওয়ার্ডের ৬ হাজার পরিবারের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দিনপাত করছেন। ওই ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ২টি ওয়ার্ডকে সম্পূর্ণ পানিবন্দি ঘোষণা করেছি।
এছাড়া শত শত হেক্টর মৎস্যঘের, কাঁচা ১৫ কি.মি., ইটের সলিং প্রায় ২০ কি. মি. ও পিসের রাস্তা প্রায় ৫ কি. মি. এবং প্রায় ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনু: ৫ হাজার কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, দুর্যোগের পূর্বে এলাকার বাঁধগুলো সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন বরাদ্দ নাই। অথচ ভেড়িবাঁধ বাঁধ ভাঙ্গলে তাদের কাছে বরাদ্দ আসে। ওই বরাদ্দকৃত অর্থের হিসাব তো দেয়না। বরং আম্পানে ভাঙ্গা বাঁধ সংস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও সেই কাজ অদ্যবদি বাস্তবায়ন হয়নি। এতে করে কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এলাকার শত শত মানুষ নিরুদ্দেশে চলে যাচ্ছে।
জাকির জানান, ওই পানিবন্দি মানুষকে সহায়তা করার জন্য ২২ টন চাউল ও ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। যা খুবই অপ্রতুল। আমরা ত্রাণ চাই, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। এর জন্য সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি ইতিপূর্বেও আন্দোলন করেছে এবং বর্তমানেও করে যাচ্ছে। তাদের আন্দোলনের সাথে একমত পোষণ করি। আজকের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নাগরিক নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
