শ্যামনগরে রাতের আধাঁরে স্কুলের রাস্তা খুঁড়ে দিল দুবৃর্ত্তরা
শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা রাতের আঁধারে খুঁড়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে শ্যামনগর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ১৪৮ নং হাবিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ঐ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ কাজ শুরুর প্রথম দিনে ঘটনাটি ঘটলো।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে স্থানীয় রবিউল ইসলাম ও তার লোকজন বিদ্যালয়ের রাস্তা খুঁেড়ছে বলে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ দাবি। তবে রবিউল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের সম্মুখভাগে তার জমি রয়েছে বলে দাবি করেছে।
শনিবার সকালে সরেজিমনে যেয়ে দেখা যায় মুল সড়ক থেকে বিদ্যালয়ে প্রবেশের জন্য দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে ব্যবহৃত সোলিংকৃত রাস্তার ইটগুলো উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রবেশের একমাত্র সড়ক খুঁেড় ফেলায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ অভিভাবকরা বিকল্প পথে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে। কার্পেটিং করা মুল সড়ক থেকে প্রায় নব্বই ফুট দীর্ঘ ঐ রাস্তার প্রায় আশিভাগ ইট উপড়ে ফেলে সম্পুর্ণ রাস্তাকে চলাচলের অযোগ্য করে দেয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা জানায় সকালে এসে রাস্তা খুঁড়ে ফেলা হয়েছে দেখে পানি কাঁদা ঠেলে ভিন্ন পথে তারা বিদ্যালয়ে পৌছেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী মতিয়ার রহমান ও আবুল কালাম সরদার জানান, অনেক আগে থেকে রবিউল ইসলাম দাবি করে আসছিল বিদ্যালয়ের রাস্তার তার জমির উপর দিয়ে গেছে। উক্ত জমির মালিকানা নিয়ে বিদ্যালয়ের সাথে তাদের একটি মামলা চলছিল। বিদ্যালয় কতৃপক্ষের অবহেলায় সম্প্রতি মামলাটি খারিজ হওয়ার খবর প্রচার হতেই আকস্মিকভাবে রাতের বেলা রাস্তা খুঁেড় দেয়া হয়েছে।
রবিউল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের সাথে আমার জমি নিয়ে মামলা চলছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা কে বা কারা খুঁড়েছে আমার জানা নেই।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই জানান, সকালে বিদ্যালয়ে এসে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা খোঁড়া দেখে পরিচালনা পরিষদের সবাইকে জানানো হয়। বিষয়টি ইতিমধ্যে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবার পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম আবুজর গিফারী জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। ওসি সাহেবের সাথে কথা হলেও তার নিকট থেকেও এমন কিছু জনতে পারিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)