এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকায় অগ্রাধিকার
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো স্কুলশিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কর্মসূচি।
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক পর্যায়ক্রমে সব জেলায় এ কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন।
আর এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ কেন্দ্রটিতে করোনার প্রথম টিকা পেয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী তাহসান হোসেন ও মাহজাবিন তমা। তারা দু’জনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘সব শিশু টিকা নিবে, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে’ প্রতিপাদ্যে আজ শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে রাজধানীর আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুধু আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে টিকা দেওয়া হবে হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথ পয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, চিটাগাং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাকলী স্কুল, মিরপুর কমার্স কলেজ, স্কলাস্টিকা (মিরপুর) ও সাউথ ব্রিজ স্কুলে।
প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে ২২টি জেলায় স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এসব জেলায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক এক অনলাইন বুলেটিনে বলেন, শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা। এ টিকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বুথে দিতে হয়। প্রতি স্কুলে ২৫টি করে বুথ থাকবে। এসব বুথে দিনে চার থেকে পাঁচ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিবন্ধন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারবে না। টিকার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা ও জন্মনিবন্ধন নম্বর আইসিটি বিভাগে পাঠাবে। আইসিটি বিভাগ সেটি যাচাই করে সুরক্ষা অ্যাপে দেবে। সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। টিকা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ড ও জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
স্কুলে টিকা কার্যক্রম চলাকালে সেখানে চিকিৎসক থাকবেন। যেসব স্কুল ও কলেজে টিকা দেওয়া হবে, সেখানে অভিভাবকদের ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এর আগে গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়। টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হয়নি। পরবর্তী সময়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের (১২-১৭ বছর) টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)