সিনহা হত্যা মামলার রায়: যেভাবে রাখা হয়েছে প্রদীপ-লিয়াকতকে
কক্সবাজারের বহুল আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার বিকালে জনাকীর্ণ আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নেছার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, রায় ঘোষণার পরে কারাগারে আনা হলে তাদের হাজতিদের নির্ধারিত পোশাক পরিয়ে তাদের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার কারা কনডেম সেল আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য আলাদা কোনো কনডেম সেল নেই। আমাদের কারাগারে সেল আছে। যে কোন সেলকে কনডেম সেল ঘোষণা করা য়ায়। সে হিসেবে কনডেম সেল ঘোষণা করে রাখা হয়েছে। জেল কোড অনুযায়ী প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিদের কিভাবে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছয়জনকে ছয় সেলে রাখা হয়েছে। জেল কোড অনুযায়ী প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা করেন। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং মাদক আইনে এসব মামলা হয়। টেকনাফ থানায় করা দুই মামলায় নিহত সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আসামি করা হয়। আর রামু থানায় মাদক আইনে করা মামলায় আসামি করা হয় নিহত সিনহার অপর সফরসঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে। ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)