খুলনায় এফডিআর জালিয়াতির মামলায় ব্যবসায়ী বাবু জেলহাজতে
১৩টি নাম ব্যবহার করে ৪০টি এফডিআরের ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে জনতা ব্যাংক খুলনা কর্পোরেট শাখা থেকে ১ কোটি ৮ লাখ ১৫ হাজার ৬২০ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় ব্যবসায়ী তৌহিদুর রহমান বাবুকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এ আদেশ প্রদান করেছেন। বাবু (৪৬), লোয়ার যশোর রোডের বাসিন্দা মাসফুউর রহমান ওরফে মাহমুদ আলী ওরফে এম রহমানের ছেলে। খুলনা শিপইয়ার্ডে অক্সিজেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদকের খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে দায়ের করা মামলায় বুধবার আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন বাবু। পরে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। তিনি আরও বলেন, খুলনা অক্সিজেন কোম্পানির কর্ণধার তৌহিদুর রহমান বাবু ওরফে তৌহিদ মাহমুদ এবি ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার এফডিআর লিয়েন দেখিয়ে জনতা ব্যাংক খুলনা করপোরেট শাখা থেকে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ঋণ নেন। এফডিআরের কাগজপত্র ভুয়া ধরা পড়ার পর ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর খুলনা থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় বাবুসহ সাতজনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাবুর মামা নজরুল ইসলাম, মামি শর্বরী ইসলাম, এস এম আমিরুল হক, এইচ এম বারিক বাদল, জিল্লুর রহমান ও সুবোধ কুমার দে। এবি ব্যাংক ঢাকার এবিপি ও লোন অফিসার এবং খুলনা শাখার এজিএম ও লোন অফিসার যোগসাজশে এই টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
আদালত সুত্র জানায়, ২০০৪ সালের ২ আগস্ট উক্ত টাকা আত্মসাতের প্রতিবেদন জাতীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ার পর জনতা ব্যাংক খুলনা কর্পোরেট শাখার ডিজিএম মনোয়ারা আমিনের দৃষ্টিগোচর হয়।
তিনি ওই দিন খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ডিজিএম মনোয়ারা আমিন বর্ণিত মামলায় পরস্পর যোগসাজোশ রয়েছে বিধায় বাদীনি কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় এফআরটি দাখিলের সুপারিশ করেন। কিন্ত তৎকালীন র্যাব-৬ এর খুলনার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক এস এম এনামুল হক নিজে বাদী হয়ে মনোয়ারা আমিনসহ ৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেন যার নং- ৬। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক সজেক যশোরের উপ পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)