মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

নড়াইলে যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা,স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নড়াইলে যৌতুকের দাবিতে অন্তঃ সত্ত্বা স্ত্রী মুক্তা মনি বেগমকে হত্যার অভিযোগে স্বামী মো. লাভলু মীরকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর ৪ আসামীকে খালাস প্রদানের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নড়াইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মো. লাভলু মীর জেলার লোহাগড়া উপজেলার চরবগজুড়ি গ্রামের লায়েব আলী মীরের ছেলে। রায় শোনার পর আসামী লাভলু মীর কাঠগড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০০৭ সালে আসামী মো. লাভলু মীরের সাথে নিহত মুক্তা মনি বেগমের বিবাহ হয়। বিবাহের পর আসামী লাভলু মীরের ঔরষে ও নিহত মুক্তা মনির গর্ভে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম মেহেরাব। এই পুত্রের জন্মের পর বিভিন্ন সময়ে আসামীরা নিহত মুক্তা মনি ও তার পরিবারের লোকজনের কাছে ২লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল।

বিগত ২০১২ সালের ২১ মে বেলা ১২টার সময় লোহাগড়া থানার চরবকজুড়ি গ্রামে স্বামীর বসতবাড়িতে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে ও সহায়তায় ২লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে না পেয়ে ক্ষোভে বাদীর বোন মুক্তা মনি বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার জন্য মধুমতি নদীর পানিতে ফেলে দেয়। এ সময় মুক্তা মনি ৪ মাসের অন্তঃসত্তা ছিল। আসামীরা কিছু সময় পর নাটক সাজিয়ে নিহত মুক্তা মনির লাশ পানি থেকে তুলে এনে পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে জানায়।

বাদীসহ তার আত্মীয় স্বজনরা আসামীদের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় যে, নিহত মুক্তা মনির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে এবং গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার চিহৃ দেখতে পায়। এ ঘটনায় নিহতের বোন সালেহা সুলতানা বাদী হয়ে নিহতের স্বামী মো. লাভলু মীরসহ ৫জনকে আসামী করে ২০১২ সালের ৪জুন লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নিহতের স্বামী মো. লাভলু মীর এবং লায়েব আলী মীর, লাভলী বেগম, মামুন মীর ও মোসা. লিজা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালতে ৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামী মো. লাভলু মীরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০হাজার টাকা জরিমানা এবং অপর ৪জন আসামীকে খালাস প্রদানের আদেশ দেন বিচারক। খালাস প্রাপ্তরা হলেন লায়েব আলী মীর, লাভলী বেগম, মামুন মীর ও মোসা. লিজা বেগম।

একই রকম সংবাদ সমূহ

নড়াইল সদর থানা পুলিশের অভিযানে সাজা প্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

নড়াইল সদর থানা পুলিশের অভিযানে সাজা প্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার। এনআই এ্যাক্টের মামলায়বিস্তারিত পড়ুন

নড়াইলে গাঁজাসহ চারজন গ্রেফতার

নড়াইলে পৃথক তিনটি অভিযানে গাঁজাসহ চারজন গ্রেফতার। গাঁজা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মোঃবিস্তারিত পড়ুন

মাশরাফি ঝাঁপিয়ে পড়লেন মধুমতি নদীর পানিতে

নড়াইল জেলাব্যাপী বইছে তীব্র তাপদাহ। ৪১ থেকে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • নড়াইলে গাঁজাসহ দুইজন গ্রেফতার
  • নড়াইলে গাঁজাসহ গ্রেফতার ১
  • নড়াইলে দুইজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
  • নড়াইলে সুলতান মেলার সমাপনী
  • নড়াইলে মাইজপাড়া ইউপি উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন সফুরা খাতুন বেলি
  • নড়াইলে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মৃৎশিল্প
  • নড়াইলে বৃষ্টি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মুসল্লিরা
  • নড়াইলে দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান
  • নড়াইলে বৈশাখের তাপমাত্রা যেন কোনভাবেই কমছে না, এমন গরম জীবনে দেখি নাই
  • কালিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা
  • নড়াইলে ষাঁড়ের লড়াই প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার বিতরণ
  • নড়াইলে মাসিক কল্যাণ সভায় শ্রেষ্ঠ অফিসার নির্বাচিত এ এস আই আনিস