সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়

‘অন্তত ২-৩ বছর অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চান সংবাদপত্রের সম্পাদকরা’

দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্তত দুই থেকে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রের ২০ জন সম্পাদক মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রেস সচিব।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টাকে তারা বলেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার যেন ‘যৌক্তিক সময়’ পর্যন্ত থাকে। এই যৌক্তিক সময় আসলে কতটা সময়- সে বিষয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের কাছে জানতে চান। এই সময়টাতে কী কী মৌলিক কাজ সরকারের করা উচিত- এ বিষয়েও পরামর্শ চান তিনি।

সম্পাদকদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন রকম কথা এসেছে যেমন- অন্তত ২ বছর মেয়াদ দেওয়া যেতে পারে। অনেকে আবার দুই থেকে তিন বছরের কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে যতটা সময় লাগে তা দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব দেন।’

শফিকুল আলম বলেন, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে বেশির ভাগই বলেছেন- যেসব সংস্কার কাজ বা যে কর্মপরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের রয়েছে, সেটিই আসলে নির্ধারণ করবে এই সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের জন্য জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য মস্ত বড় সুযোগ এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে নতুন শেখরে নেওয়ার জন্য এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তবে এর জন্য জাতীয় ঐক্যের খুব প্রয়োজন।’

বৈঠকে সম্পাদকদের পক্ষ থেকে আসা পরামর্শ তুলে ধরে প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন, সংবিধান পুনঃলিখন, আইন কমিশন, সংবিধান কমিশন, মিডিয়া কমিশন ও পুলিশ কমিশন গঠনের কথা এসেছে। পুলিশকে কিভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায় এবং নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কথা এসেছে।’

এ ছাড়া সম্পাদকরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান প্রেস সচিব।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভুলত্রুটি নিয়ে লেখার অনুরোধ জানিয়ে ড. ইউনূস সম্পাদকদের বলেন, ‘আপনারা লেখেন। আমাদের দোষ-ত্রুটি হলে তা নিয়ে লেখেন। আমরা আপনাদের কথা শুনতে চাই। মতামত জানতে চাই।’

প্রেস সচিব বলেন, ড. ইউনূস বার বার বলেছেন- তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্ত, প্রাণবন্ত ও গতিশীল গণমাধ্যম দেখতে চান।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম বলেন, সরকার দেশে একটা গতিশীল গণমাধ্য দেখতে চায়। এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবটুকু করা হবে। একইঙ্গে তিনি সরকার দেশে মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় সম্পাদকরা সাংবাদিকদের জন্য যেসব কালাকানুন আছে সেগুলো বাতিল বা সংশোধন করার প্রস্তাব করেন।

সরকারের পক্ষ থেকে মিডিয়ার (গণমাধ্যম) ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম মজুমদার বলেন, ‘একটি প্রাণবন্ত ও মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য মিডিয়া কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই কমিশন আমাদের দেশে মিডিয়া কিভাবে চলবে তা ঠিক করবে।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কেউ যেন বিপত্তির মুখে না পড়েন, বাধার সম্মুখীন না হন- তা নিশ্চিতে এই কমিশন গঠনের প্রস্তাব এসেছে। সরকার এই কমিশন গঠনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।’

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার আরেক উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীরও উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব জানান, মোট ২২ জন সম্পাদককে মতবিনিময়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড সম্পাদক ইনাম আহমেদ, কালের কণ্ঠের হাসান হাফিজ, আমাদের সময় সম্পাদক আবুল মোমেন, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, প্রতিদিনের বাংলাদেশের মুস্তাফিজ শফি, দেশ রূপান্তরের মোস্তফা মামুন, কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা।

এ ছাড়া দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন, দৈনিক করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

জনগণ সঙ্গে না থাকলে কী হয় ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে: তারেক রহমান

জনগণ সঙ্গে না থাকলে কী হয় তা ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে উল্লেখবিস্তারিত পড়ুন

শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের (দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্স) সদস্যরাবিস্তারিত পড়ুন

আ.লীগ সরকার এতদিন দেশবাসীকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব

সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই বাস্তবায়নবিস্তারিত পড়ুন

  • ঐক্যের মাঝে এ সরকারের জন্ম, একতাই শক্তি: ড. ইউনূস
  • জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সর্বদলীয় বৈঠক
  • ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
  • জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
  • ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত কোনোভাবেই স্থির হতে পারছে না: রিজভী
  • ১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপির লুৎফুজ্জামান বাবর
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের গেজেট প্রকাশ
  • এমপিদের সুবিধা কমানো, একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নয়
  • প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি
  • আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় ৯০ শতাংশ মানুষ : সংস্কার কমিশন
  • সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বৃদ্ধি
  • রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন গঠন