বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

আজ পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা

মহনবীর (সা.) জীবনের আজ অন্যতম একটি দিন। এদিনটি বিশেষ তাৎপর্যময়। আজ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি পালন করা হবে। নবীর আশেকীনরা বিশেষভাবে দিনটি উদযাপন করবেন। রাসূলের (সা.) জীবনের প্রতিটি ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ। তিনিতো আমাদের সারোয়ারে আলাম।

হিজরি সনের দ্বিতীয় মাসের নাম সফর। এ মাসের শেষ বুধবারকে বলা হয় আখেরি চাহার সোম্বা। আক্ষরিক অর্থে শব্দটি তা-ই বুঝায়। আখেরি চাহার সোম্বা আরবি ও ফার্সি শব্দের সংমিশ্রণে গড়ে উঠা। আখেরি আরবি শব্দের অর্থ শেষ। চাহার সোম্বা ফারসি শব্দ এর অর্থ বুধবার।

রাসূল করীম (সা.) ইহজীবনের শেষ দিকে কিছুদিন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। বলা হয়ে থাকে, এদিন তিনি রোগমুক্তি শেষে গোসল করেন এবং মসজিদে নববীতে ইমামতি করেন। এরপর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেকদিন পর তাকে সুস্থ্য অবস্থায় দেখে সাহাবিরা খুবই আনন্দিত হন। পরবর্তীতে এইদিনটি মুসলমানদের কাছে আনন্দের দিন হিসেবে পালিত হতে থাকে। তবে মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে পালন করা হয় না।

আখেরি চাহার সোম্বার দিন দশেক পর রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার তিনি ইন্তেকাল করেন। দিনটি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। আল্লামা ছফিউর রহমান মোবারকপুরী রচিত ‘আর রাহীকুল মাখতূম’-এ উল্লেখ করা হয়েছে, আখেরি চাহার সোম্বা ছিলো রাসূল (সা.)-র ইন্তেকালের পাঁচদিন আগে। এখানে বলা হয়, এইদিন তাঁর অসুখ আরো বেড়ে যায়। তাঁর নির্দেশ মতে, সাত কূপের সাত মশক পানি দিয়ে তিনি গোসল করেন। এরপর কিছুটা সুস্থ্যবোধ করেন। তারপর ইমামতিতে যান।

অন্যান্য বর্ণনায় বলা হয়, এই দিনে ভোর বেলায় উম্মুল মোমেনীন বিবি আয়শা সিদ্দীকা (রা.)-কে ডেকে বলেন, ‘বিবি আমার কাছে আসেন।’ তিনি দৌড়ে এসে বলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক, আমি হাজির আছি।’ মুহাম্মদ (সা.) বললেন, ‘হে আয়েশা সিদ্দিকা আমার মাথাব্যথা যেন দূর হয়ে গেছে শরীর হালকা মনে হচ্ছে। আমি আজকে সুস্থ্য বোধ করছি।’

বিবি আয়েশা (রা.) অত্যন্ত আনন্দিত হলেন ও হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে গোসল করিয়ে দেন। গোসলের ফলে হুজুর পাক (সা.)-র শরীর হতে বহুদিনের রোগজনিত ক্লান্তি ও অবসাদ অনেকটা দূর হয়। তখন তিনি জিজ্ঞেস করেন ঘরে কোন খবার আছে কিনা? তিনি জানান ঘরে রুটি বানানো আছে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘এগুলো নিয়ে এসো এবং মা ফাতেমা (রা.)-কে খবর দাও যে, দুইপুত্র হাসান ও হোসেন (রা.)-কে নিয়ে তাড়াতাড়ি আমার কাছে যেন চলে আসে।’

বিবি আয়েশা (রা.) মা ফাতেমা (রা.)-কে খবর দিলেন। বিবি ফাতেমা (রা.) আসার পর মহানবী (স.) মেয়েকে আদর করলেন এবং নাতি দুই জনের কপালে চুমু খেয়ে তাদের নিয়ে খেতে বসলেন। খবর শুনে কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্যান্য বিবি ও ঘনিষ্ট সাহাবারা হাজির হন। তখন তিনি সকলের উদ্দেশ্য আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার প্রিয় সাহাবী ও প্রিয় ভ্রাতৃবৃন্দ আমার মৃত্যুর পর, আমার বিয়োগে, তোমাদের অবস্থা কী রূপ হবে?’ এই কথা শোনার পর সাহাবাগণ ব্যাকুল হয়ে কাঁদতে থাকেন। হুজুর পাক (সা.) সবাইকে বলেন, ‘সকলের আগে আল্লাহর দরবারে আমাকে যেতে হবে।‘

তারপর তিনি মসজিদে নববীতে গেলেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-র শরীরের উন্নতি দেখে সাহাবাগণ অতিশয় আনন্দিত হলেন। অনেকদিন পর তিনি সে দিন শেষবারের মতো মসজিদে নববীতে ইমামতি করেন। বলা হয়ে থাকে, আনন্দে সাহাবাগণ নিজ, নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী দান খয়রাত করতে থাকেন। অনেক বর্ণনায় বলা হয়, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) ৭ হাজার দিনার, হযরত ওমর ফারুক (রা.) ৫ হাজার দিনার, হযরত ওসমান (রা.) ১০ হাজার দিনার, হযরত আলী (রা.) ৩ হাজার দিনার এবং হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) ১০০ উট ও ১০০ ঘোড়া আল্লাহর রাস্তায় দান করেন।

‘আর রাহীকুল মাখতূম’ থেকে জানা যায়, সেখানে নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করা ইহুদি নাসারাদের তিনি লানত দেন।(সহীহ বোখারী, ১ম খণ্ড, পৃষ্টা ৫২)। আরও বলেন, তোমরা আমরা কবরকে মূর্তিতে পরিণত করো না। (মোয়াত্তা ইমাম মালেক, পৃ. ৬৫) তার ওপর কারো অভিযোগ থাকলে প্রতিশোধ নিতে বলেন। এছাড়া আনসারদের বিষয়ে তিনি অসিয়ত করেন।

অসুস্থ অবস্থাতেই, ইন্তিকালের কয়েকদিন আগে তিনি গোসল করেছিলেন বলে সহীহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বোখারী শরীফে সংকলিত হাদীসে আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আমার গৃহে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর অসুস্থতা বৃদ্ধি পেল, তখন তিনি বললেন, তোমরা আমার উপরে ৭ মশক পানি ঢাল…; যেন আমি আরামবোধ করে লোকদের নির্দেশনা দিতে পারি। তখন আমরা এভাবে তাঁর দেহে পানি ঢাললাম…। এরপর তিনি মানুষদের নিকট বেরিয়ে গিয়ে তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন এবং তাদেরকে খুৎবা প্রদান করলেন বা ওয়াজ করলেন।’ (সহীহ বুখারী ১/৮৩, ৪/১৬১৪, ৫/২১৬০)

এ দিবসকে কেন্দ্র করে কিছু ইবাদতের কথা বলা হলেও সেগুলো সহি মাধ্যম থেকে পাওয়া কিনা তা নিয়ে মতভেদ আছে। তবে রাসূল (সা.)-র এইদিনটি মুসলমানদের জন্য নিসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। এটি সফর মাসের শেষ বুধবার কিনা এই বির্তক ততটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়। তাছাড়া ইসলামে এইদিনের দিবস পালন করা যায় কিনা- তা নিয়ে আলেমদের মতভেদ রয়েছে। এইসব বিভেদের বদলে নবী করীম (সা.) এইদিন আল্লাহর বান্দাদের জন্য কী বাণী দিয়েছেন তা ও তার শিক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ আমাদের সৎ পথের নির্দেশনা দেন নিশ্চয়ই!

একই রকম সংবাদ সমূহ

ফিলিস্তিনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করল বাংলাদেশ

কাতারের সার্বভৌম ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। এই হামলাকেবিস্তারিত পড়ুন

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলার

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সামান্য বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর)বিস্তারিত পড়ুন

ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজে আমরা সন্তুষ্ট : নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজবিস্তারিত পড়ুন

  • ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেল ৩৭ প্রতিষ্ঠান
  • পদ্মা সেতুতে গাড়ি থামানো ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় টোল আদায়
  • যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আরো গভীর করতে চান প্রধান উপদেষ্টা
  • ৭ পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
  • প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে কীভাবে ভোট দেবেন, জানালেন ইসি
  • নতুন বেতন কাঠামোতে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে
  • সহিংসতার অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত
  • কোনো চাপে নয়, ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হয়েছে: উপদেষ্টা
  • ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ‘মহোৎসবের নির্বাচন’: প্রধান উপদেষ্টা
  • ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন
  • নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন চেয়ারম্যান
  • সেনাপ্রধানের সঙ্গে মালদ্বীপের চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সের সৌজন্য সাক্ষাৎ