আশাশুনির গোঁদাড়ায় স্বামী-সন্তান ফেলে স্ত্রী উধাও, থানায় জি.ডি
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির গোদাড়ায় স্বামী পুত্রকে ফেলে স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে শোভনালী ইউনিয়নের গোলাম মোস্তফার পুত্র আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় স্ত্রীর নামে একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেছেন।
ডায়েরী সূত্র ও আলমগীর হোসেন জানান-আমি আশাশুনি থানার নাকতাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের গাজীর কন্যা আমেনা খাতুনের সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী ২০১৫ সালে বিবাহ করি। সাংসারিক জীবনে আমার স্ত্রীর গর্ভে পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। আমি সংসার নির্বাহের জন্য খুলনায় মটর গাড়ী চালানোর জন্য খুলনায় থাকতাম।
এমতাবস্তায় আমার বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন মোবাইলের মাধ্যমে আমাকে জানায় তোর ছেলেকে রেখে স্ত্রী কোথায় চলে গেছে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি সংবাদ পেয়ে বাড়ীতে এসে দেখি আমার ছেলে তাসকিন হোসেন মা মা করে কান্না-কাটি করছে। তখন আমি শশুড় বাড়ী খোঁজ খবর নিতে যাই। শশুর শাশুড়ী জানায় তোমার স্ত্রী আমাদের এখানে আসেনি। একপর্যায়ে আমি বাড়ীতে এসে দেখি আমার স্ত্রীর গহনাদী, ঘেরের হারীর টাকা ও সমিতি থেকে আনুমানিক ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নিখোঁজ হয়। এব্যাপারে আশাশুনি থানায় স্ত্রী নিখোঁজ দাবী করে ৩ অক্টোবর ১২১নং একটি সাধারণ ডায়েরী করি।
আলমগীর হোসেন আরও জানান, বহু খোঁজা-খুজির পর জানতে পারি আমার স্ত্রী মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বকুল হোসেনের পুত্র বিপ্লব হোসেনের বাড়ীতে অবস্থান করছে। আমার স্ত্রী বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয় ৩০ এপ্রিল’২৩ তারিখে। কিন্তু পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে ২০/০১/২০২৩ তারিখ দেখিয়ে আমাকে একটি ডিভোর্স লেটার দেওয়া হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)