খেজুর গাছের রসের যশ ধরে রাখতে কেশবপুরে গাছিদের শপথ


যশোরের কেশবপুরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে গাছিরা ভেজালমুক্ত খেজুরের গুড় তৈরির শপথ গ্রহণ করেন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে গাছিদের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যশোরের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. হুসাইন শওকত তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীর পলাশের সভাপতিত্বে গাছি প্রশিক্ষণ ও উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন যশোরের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. হুসাইন শওকত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা, এলজিএসপি-৩ এর ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটেটর মো. আব্দুল হালিম, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চক্রবর্ত্তী বক্তব্যকালে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়ি সড়কের দু’পাশ দিয়ে খেজুর গাছের চারা রোপণের আহবান করেন।
লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) এর আওতায় ও যশোরের কেনার হাটের কারিগরি সহায়তায় মজিদপুর ইউনিয়নে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে “যশোরের যশ খেজুরের রস” এ ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য উপস্থিত ৩৫ জন গাছি ভেজালমুক্ত রস আহরণ এবং গুড় তৈরির শপথ নেন।
এ সময় দেওলী গ্রামের গাছি নাসির উদ্দিন, বাগদহা গ্রামের ঈমান আলী, লক্ষ্মীনাথকাটি গ্রামের মতলেব আলী ও প্রতাপপুর গ্রামের ফুলমিয়া বক্তব্য দিতেগিয়ে বলেন, জীবনের শেষপ্রান্তে প্রথম এ ধরনের প্রশিক্ষণ পেলাম। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিরাপদ রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে সচেষ্ট থাকবেন।
অনুষ্ঠানে গাছিদের মাঝে উপকরণ হিসেবে গাছ কাটা (গাছি) দা, ঠুঙ্গি ও ভাড় ঢেকে রাখার বিশেষ কাপড় বিতরণ করা হয়।
আয়োজকরা জানান, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভেজাল মুক্ত খেজুর গুড় তৈরি করার উপর গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি গাছিরা যাতে তাদের উৎপাদিত গুড়ের ন্যায্য মূল্য পান তার সুব্যবস্থা করা হবে।
গত ৯ নভেম্বর এ উপজেলার ত্রিমোহিনী ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭০ জন গাছিকে ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে প্রশিক্ষণ শেষে উপকরণ বিতরণ করা হয়। এখানেও গাছিরা ভেজালমুক্ত গুড় তৈরির শপথ গ্রহণ করেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কেশবপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
