বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

জবানবন্দিতে জুলাই আন্দোলন নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক আইজিপি মামুন

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার হন তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। গত ২৪ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঁচ পৃষ্ঠার একটি বিস্ফোরক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। এতে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম, গুম, খুন এবং জুলাই আন্দোলন দমন সংক্রান্ত নানা তথ্য তুলে ধরেছেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান।

জবানবন্দিতে মামুন বলেন, ১৯ জুলাই থেকে নিয়মিতভাবে রাতের বেলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক হতো। এসব বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুজন সচিব, এনএসআই প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবির তৎকালীন প্রধান হারুন অর রশীদ, র‌্যাব মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপির ডিজি এবং এনটিএমসির তৎকালীন প্রধান জিয়াউল আহসান। আন্দোলন দমন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা এই বৈঠক থেকেই আসতো।

মামুন আরও জানান, কোর কমিটির এক বৈঠকে ছয়জন ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ককে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে মানসিক নির্যাতন ও চাপ প্রয়োগ করা হয়, যেন আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা গণমাধ্যমে দেন তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারুন অর রশীদকে ‘জনাব’ বলে সম্বোধন করতেন, কারণ তাকে রাজনৈতিক নির্দেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর মনে করা হতো।

হেলিকপ্টার থেকে গুলির বিষয়ে মামুন বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি ও নজরদারির জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন র‌্যাবের তৎকালীন ডিজি হারুন অর রশীদ।’

তিনি আরও দাবি করেন, আন্দোলন প্রবণ এলাকায় ব্লক রেইড এবং মারণাস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ছিল সরাসরি রাজনৈতিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথা জানিয়েছিলেন।
মামুন বলেন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব এবং ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ লেথাল উইপন ব্যবহারে অতিউৎসাহী ছিলেন।

জবানবন্দিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকেই আন্দোলন দমন করতে মারণাস্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ ও উসকানি দিয়েছিলেন।

সরকার পতনের দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট বিকেলে কী করেছিলেন তাও জানান মামুন। বলেন, ওইদিন বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরে একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। তিনি তাতে করে তেজগাঁও বিমানবন্দরে যান এবং সেখান থেকে সরাসরি সেনানিবাসে আশ্রয় নেন।

জবানবন্দির শেষাংশে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো ও হতাহতের ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ক্ষমাও চেয়েছেন আদালতের কাছে। তবে পুরো জবানবন্দিতে তিনি সরাসরি কোনো হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেননি। শুধু বৈঠকে অংশগ্রহণের কথা বলেছেন।

সম্প্রতি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আসামি থেকে রাজসাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। সম্পূর্ণ সত্য বলার শর্তে তার রাজসাক্ষীর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। এখন অপেক্ষা, কখন তিনি আদালতে রাজসাক্ষী হিসেবে আনুষ্ঠানিক জবানবন্দি দেবেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো : ছাত্রদলের আবিদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ছাত্রদল সমর্থিতবিস্তারিত পড়ুন

ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

  • নির্বাচনে সিসিটিভি ও বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে ‘করণীয় কিছু’ নেই: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসি
  • আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
  • ডাকসু নির্বাচন : বিজয়ীদের অভিনন্দন বিএনপির
  • ১০ ভোটও পাননি ২১ ভিপি প্রার্থী, যে যত ভোট পেলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ১, ২ ও ৩টি করে ভোট পেলেন যারা
  • স্ত্রীর চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
  • ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ডাকসু নির্বাচনে জয়ী স্বামী-স্ত্রী
  • যে মতেরই হোক না, সবাই একসঙ্গে কাজ করবো: সাদিক কায়েম
  • ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবিরের সাদিক কায়েম ও ফরহাদ