জাপানে রেকর্ডসংখ্যক তরুণ-তরুণী বিয়ে করতে চান না, কিন্তু কেন?
জাপানে রেকর্ডসংখ্যক নারী ও পুরুষের মধ্যে বিয়ের বিষয়ে অনীহা তৈরি হয়েছে। যা জাপানের জন্মহারের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে, জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে দেশটির জনসংখ্যা এবং কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।
এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, জাপানে পুরুষ ও নারীদের একটা বিরাট অংশ বিয়ের বন্ধনে নিজেকে আবদ্ধ করতে চাইছেন না। সমীক্ষা অনুসারে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ১৭.৩ শতাংশ পুরুষ এবং ১৪.৬ শতাংশ নারী বলছেন যে, তাদের বিয়ে করার কোনও ইচ্ছে নেই। ১৯৮২ সাল থেকে প্রতি বছরই এই সমীক্ষা করা হয়, তবে এ বারের সমীক্ষার ফলাফল ভাবনায় ফেলেছে জাপান সরকারকে।
টোকিয়োর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি নামক একটি সরকারি সংস্থার ২০২১ সালের সমীক্ষার ফলাফল জন্মহারের অনুপাত সম্পর্কে যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে। জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গণনার সূত্র এবং প্রাথমিক সব তথ্য বিশ্লেষণ করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২১-এ সে দেশের জন্মহার আট লক্ষ ১১ হাজার ৬০৪। ২০২০ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ৩.৫ শতাংশ কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের তুলনায় করোনাকালে জাপানে বিয়ের সংখ্যা কমেছে। জন্মহার আরও হ্রাস পেতে থাকবে, যদি না যুবসমাজ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে উদ্যোগী হন। পরিস্থিতি এমন থাকলে দেশের অর্থনীতির উপর বিরাট সঙ্কট ঘনিয়ে আসছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন বিয়ে করতে রাজি নয় জাপানের তরুণ প্রজন্ম?
এর পেছনে স্বাধীনচেতা মানসিকতা ও পেশাগত কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সমীক্ষায় জানা গেছে, পুরুষরা তাদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিত। বিয়ের পর পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয় তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, অবিবাহিত মেয়েরা কর্মজীবনের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
জাপানে নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কাজে যোগদানের ব্যাপারটা মোটেই সহজ নয়, সেটাও ভাবার মতো বিষয়। শুধু জাপানই নয়, বিগত কয়েক বছরে একই ভাবে হ্রাস পেয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্মহারও। তিন দেশই জন্মহার হ্রাস পাওয়া আটকাতে একাধিক সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা ও জাপান টুডে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)