ডিজিএম জাদু: বৃষ্টি-বাদলেও কলারোয়ায় প্রায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যায় নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো বিদ্যুৎ। বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ হচ্ছে তা দেশে বিদেশে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ -এই শ্লোগানে সারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে তারই ধারা বাহিকতায় বিদ্যুতের সাতক্ষীরার কলারোয়া জোনাল অফিসের আওতাধীন কলারোয়ায় ১৫ মেগা. বিদ্যুতের ২টি উপ-কেন্দ্রের মাধ্যমে উপজেলায় ৮০ হাজার পরিবারের মাঝে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে সময়ে-অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে, দেখা দিচ্ছে ঝড়ো হাওয়াও। লাইনের ত্রুটি কিংবা দূর্ঘটনা ব্যতিত সেই বৃষ্টি-বাদলের মধ্যেও বিদ্যুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পিছনে যার বড় অবদান তিনি হলেন বর্তমান কলারোয়া জোনাল বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম।
তিনি ২৬-১১-১৯ ইং সালে কলারোয়া জোনাল অফিসে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যে কলারোয়া উপজেলার মানুষের মাঝে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের আলো সরবরাহ করছেন।
বিভিন্ন সময় লক্ষ করা গেছে, গ্রামাঞ্চলে গ্রাহক যদি কোন সমস্যায় পড়ে বা কোন অভিযোগ করলে সংগে সংগে তিনি নিজেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
অনেক সময় তিনি নিজেও ছুটে যান।
তার এই ছুটে চলা কলারোয়াবাসির কাছে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিগত কয়েক বছর আগেও বিদ্যুতের লোডশেডিং এর টালমাটাল অবস্থা ছিলো কলারোয়ায়। নামাজ-আজানের সময় বিদ্যুৎ চলে যেতে দেখেছে মুসল্লিরা। অযৌক্তিক ঘন্টার পর ঘণ্টা থাকতো লোডশেডিং। বিভিন্ন সময় গ্রাহকগণ অভিযোগ করলে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো বা বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো। আর দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিলো অলীক স্বপ্ন। সেসব আজ ইতিহাস।
বর্তমানে কলারোয়ার বিদ্যুৎ বিভাগ বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে আপডেট ও গ্রাহকবান্ধব। বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া কিংবা অনিচ্ছাকৃত বিদ্যুত লাইনের টেকনিক্যাল ত্রুটি বা দূর্ঘটনা ছাড়া এখন কলারোয়া উপজেলাব্যাপী গ্রাহকরা যেমন বিদ্যুতসেবা পাচ্ছেন তেমনি বিদ্যুত অফিস সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবাও পাচ্ছেন হয়রানীমুক্ত হয়ে। বিদ্যুতের প্রতিটি কর্মীরা শিফট অনুযায়ী দিন-রাত কাজ করে দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বিদ্যুত অফিসের কর্মরত নন এমন বাইরের কেউ স্বউদ্যোগে দালালি আজ অনেকটা বন্ধ। গজিয়ে ওঠা সেইসকল বিদ্যুত দালালদের দৌরাত্মও প্রায় শুন্যের কোঠায়।
ডিজিএম প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার অফিসে কোন দালাল নাই। দালাল মুক্ত, ঘুষ মুক্ত পরিবেশে নির্বিঘ্নে মানুষ সকল সেবা গ্রহণ করছেন। নতুন কোন লাইন নিতে চাইলে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে আবেদন করলে অল্প সময়ের মধ্যে লাইন দেয়া হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার অফিসে এসে যদি কেউ সেবা না পান বা হয়রানির শিকার হন তবে আমাকে সরাসরি জানালে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দ্বিধা করি না। চাকরি করছি মানুষের সেবা করতে, সেবা করাই আমার লক্ষ্য।’
তিনি কলারোয়াবাসির কাছে দোয়া ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)