নড়াইলের এতিম অগ্নিদগ্ধ শিশু জন্য এগিয়ে আসুন..


নড়াইলে ৭ বছরের এতিম শিশু তাহের কিছু অর্থের অভাবে দিন দিন প্রতিবন্ধী অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত দুই বছর পূর্বে শার্টে আগুন লেগে গলা থেকে শরীরের কয়েকটি অংশ পুড়ে যায়। সেই থেকে শিশুটি আর ঠিকমতো কথা বলতে পারে না, মুখ বন্ধ করতে পারে না এবং ঠিকমতো খেতেও পারে না। এক সময় হাসতে-খেলতে, কথা বলতে পারলেও প্রাণোচ্ছল শিশুটি মানুষের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে।
তাহেরের এক দরিদ্র খালা মানুষের কাছে হাত পেতে দুই লাখ টাকার বেশী খরচ করে তাকে প্রাথমিকভাবে সারিয়ে তুললেও এখন তার স্বাভাবিক হতে একটি অপারেশন প্রয়োজন। এজন্য প্রায় এক লাখ টাকা প্রয়োজন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের মুলদাইড় গ্রামের ফরুক হোসেন (৩০) ৫ বছর পূর্বে তাহেরের মা লিছিমান বেগম মারা গেলে ছেলেকে ফেলে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। এ অবস্থায় ঢাকায় গার্মেন্টেস-এ চাকরিরত তার খালা রুমা আক্তারকে ঢাকায় নিজের কাছে নিয়ে যায়। একদিন তাহের খেলাচ্ছলে গ্যাস লাইট থেকে শার্টে আগুন ধরে গেলে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় পুড়ে যায়। পরে তাহের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ৭ মাস চিকিৎসাধীন ছিল। শরীরে আগুনের ক্ষত শুকিয়ে গেলেও মুখের নীচে, গলা ও কণ্ঠ নালির কাছে চামড়া ভাঁজ ভাঁজ হয়ে যাওয়ায় সে এখন ঠিকমতো কথা বলতে, মুখ বন্ধ করতে এবং ঠিক মতো খেতেও পারে না।
রুমা জানায়, তাহেরকে অনেক কষ্ট করে অন্যের কাছে হাত পেতে, ভিক্ষা করে নিজের আয়ের অর্থ দিয়ে দুই লাখ টাকার বেশী খরচ করে প্রাথমিকভাবে তাকে বাঁচিয়েছি। চিকিৎসকরা বলেছেন ৬ মাস পর তাহেরের অপরাশেন করতে হবে। তাহলে সে আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। চিকিৎসকরা বলেছেন এজন্য এক লাখ টাকার মতো লাগবে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর চাকরি চলে যাওয়ায় নড়াইলে চলে এসেছি। নিজেই খেতে পারিনা। তাহেরকে কিভাবে বাঁচাবো। ইতিমধ্যে ৬ মাস পার হয়ে গেছে।
তাহেরের চিকিৎসার্থে সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে হয়তো সে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। (মোবাইলঃ ০১৯৬৭-৩৯৮৪৩০, তাহেরের ফুফু মনোয়ারা বেগমের নম্বর)
এ ব্যাপারে আউড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর বদরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ছেলেটির বাবা-মা কেউ নেই। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সময় তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
