প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পর এবার পদত্যাগ করলেন আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা


মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের পর এবার প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের নীতি-বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা জেমস অ্যান্ডারসন পদত্যাগ করেছেন। দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তরের দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন অ্যান্ডারসন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়। নির্বাচনে হারের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে মার্ক এসপারকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনার পরদিনই গতকাল মঙ্গলবার অ্যান্ডারসন পদত্যাগ করলেন।
অ্যান্ডারসন নিজ থেকেই পদত্যাগ করেছেন নাকি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তিনি প্রতিরক্ষা দপ্তরের পলিসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। জন রডকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প। বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বিস্তর মত পার্থক্যের জেরে জন রড বরখাস্ত হন। তার স্থলেই দায়িত্ব পালন করছিলেন অ্যান্ডারসন।
একই দিন দেশটির বিচার বিভাগের নির্বাচনসংক্রান্ত অপরাধবিষয়ক শীর্ষ আইনজীবী রিচার্ড পিলগারও পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কথিত ভোট জালিয়াতি তদন্তের আদেশ দিলে প্রতিবাদে রিচার্ড পিলগার পদত্যাগ করেন।
এর আগে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, গত সোমবার যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটবার্তায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসপারকে বরখাস্তের ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে ঢুকতে দেখা যায় নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিলারকে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সের সাবেক এ কর্মকর্তা এর আগে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে কাজ করেন। এর পর তাকে কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের প্রধান করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের শেষদিকে এসে অল্প কিছুদিনের জন্য পেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব। তবে তিনিও যে শেষ পর্যন্ত থাকবেন তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ট্রাম্প তার চার বছরের মেয়াদকালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাকে বরখাস্ত করেছেন। তার প্রশাসনের অনেকে পদত্যাগ করেছেন বা পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। গত ৩ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরেছেন ট্রাম্প। জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীর জো বাইডেন।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
