তিন বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান
যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান-সচিব ও রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান ওএসডি
প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে অবশেষে পদ হারালেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন এবং সচিব এএমএইচ আলী আল রেজা।
মঙ্গলবার তাদের দুজনকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) ওএসডি করে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৮ অক্টোবর চেয়ারম্যান-সচিবসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এবং দুদকের মামলা মাথায় নিয়েও একমাসের বেশি সময় স্বপদে বহাল ছিলেন এই চেয়ারম্যান ও সচিব। এত অভিযোগ থাকার পরও কেন তাদের আগেই সরিয়ে দেওয়া হলো না, তা নিয়ে সমালোচনা করছেন শিক্ষা প্রশাসন সংশ্নিষ্টরা।
চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ও অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল যশোরের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
যশোর শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীবকে।
রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক সরকারকে যশোর বোর্ডের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহা. মকবুল হোসেনকেও ওএসডি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তার স্থলে বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একই বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হাবিবুর রহমানকে।
সংশ্নিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বছর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের জন্য বই কিনতে ১৮-২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই টাকার চেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা শিক্ষা বোর্ডে নিতে গেলে তাদের চেয়ারম্যানের লেখা ছয় হাজার টাকা মূল্যের কয়েকটি বই ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ছয় হাজার টাকা নিয়ে একটি করে ভাউচার আর ২০ হাজার টাকার চেক ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের।
এছাড়া মঙ্গলবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রাজশাহীর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. কামরুল ইসলামকে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)