রহস্যময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই ভাইস চেয়ারম্যান শামস্ ও কোহিনুর
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
ফলে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী ঘোষিত হতে যাচ্ছেন শামস ইশতিয়াক।
অপরদিকে সোনিয়া পারভীন শাপলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় সদ্য সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলামই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ঋণ খেলাপের দায়ে প্রার্থীতা বাতিল হয় অ্যাড. তামিম আহমেদ সোহাগের। পরে তিনি আপিলে টিকে যান। ফলে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করছেন ৫ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন, অ্যাড. তামিম আহমেদ সোহাগ, গোলাম মোরশেদ, সুশান্ত মন্ডল ও জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান বাবু।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মারুফ তানভীর হুসাইন সুজন, ছাত্রলীগের আরেক সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, মো: বদরুজ্জামান ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ সংসদীয় আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিকারী আফসার আলীর ছেলে শামস ইশতিয়াক।
রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনে শামস ইশতিয়াক ছাড়া বাকী তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
ফলে শামস ইশতিয়াক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
তবে ছাত্রলীগের সাবেক দুই শীর্ষনেতাসহ তিনজনের মনোনয়ন প্রত্যাহারে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। টাকার বিনিময়ে দুই ছাত্রনেতাসহ তিনজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘ইশতিয়াক বিএনপি ঘরানার লোক। অথচ তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা।’
অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, ‘টাকার নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অসহযোগীতার জন্য।’
উদাহরণ হিসেবে রেজা বলেন, ‘ধুলিহরে একটি প্রোগ্রামে আমি উপস্থিত ছিলাম। সেই জনসভায় আমাকে প্রকাশ্য বিরোধীতা করে বক্তব্য রেখেছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।’
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থীর বিষয়টি সমম্বয় করা জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব ছিল বলে মন্তব্য করেন ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি।
এদিকে ফেসবুকে নাতিদীর্ঘ একটি বক্তব্য পোস্ট করেছেন সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর হুসাইন সুজন। ফেসবুকে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগীতা না পাওয়া ও নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করার স্বজনদের অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন।
কথা বলতে তানভীর হুসাইন সুজনের কাছে ফোন করলে তার ব্যবহৃত নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)