সোমবার, জুলাই ২৮, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরায় মাছের ঘেরে বোরো ধান চাষে সাফল্য পাচ্ছে চাষিরা

প্রতি বছর মাছের ঘেরে বোরো ধানের আবাদ বাড়ছে। মৌসুমের শুরুতেই শীত ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে চাষের জমির পাশপাশি মাছের ঘেরে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় চারা উৎপাদনও ভাল হয়েছে এবার। শেষ পর্যন্ত সব কিছু ঠিক থাকলে ধান উৎপাদনেও ভাল ফল পাবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।

সাতক্ষীরা জেলার সাতটি উপজেলার প্রত্যান্ত এলাকায় নিচু জমিতে গড়ে উঠেছে সাদা মাছের ঘের। বর্ষায় সেই ঘেরে সাদা মাছের চাষ হয়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ঘেরে মাছ উঠিয়ে সেখানে করা হচ্ছে বোরো ধানের আবাদ।

মাছের ঘেরে ধানের ফলন হয় অন্য জমির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। কৃষকরা বলছেন, মাছের ঘেরে বোরো ধান লাগাতে বাড়তি কোন চাষের প্রয়োজন হয় না। ফলে খরচ অনেকটাই কম। অন্যদিকে মাছের তুলনায় ধানের দাম বেশি। চলতি মৌসুমে তারা মাছ চাষ কমিয়ে বোরো ধান চাষে বেশি ঝুঁকে পড়ছে মাছ চাষিরা। গত কয়েক বছর ধরে বোরো মৌসুমে মাছের ঘেরে ধান চাষে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে সাতক্ষীরায়। ফলে মাছের ঘেরে বোরো ধান ও সবজির সমন্বিত চাষের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষিরা পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে তালা উপজেলা সদরের ৩০০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে ট্রেতে বীজ বপন ও মেশিনে পাতা রোপণের মাধ্যমে হাইব্রিড তেজগোল্ড জাতের বোরো ধানের চাষাবাদ হচ্ছে। ফলে ধানের উৎপাদন এবার শতভাগ অর্জিত হবে বলে আশা করছেন কৃষকসহ কৃষি কর্মকর্তারা।

সাতক্ষীরা কৃষি কর্মকর্তারা মনির হোসেন জানান, স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সাতক্ষীরায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধতিতে বোরোর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। একইসাথে ফলন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে জেলাতে। সাতক্ষীরার মাধবকাটি বলাডাঙা বিলে সম্প্রতি এ আবাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়। নতুন এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক।

সাতক্ষীরার বিনেরপোতা এলাকার ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্ত্ অলিউর রহমান জানান, ধান গাছের অবশিষ্টাংশ এবং সবজির উচ্ছিষ্টাংশ পচনের ফলে জৈব পদার্থ এবং নাইট্রোজেন ও ফসফরাস জাতীয় যৌগ উৎপন্ন হয় যা ঘেরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে। মাছের খাবারের উচ্ছিষ্ঠাংশ ও মলমূত্র তলদেশে জমা হয়। তলদেশের জৈব উপাদান সমৃদ্ধ মাটি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব ধান ও সবজি চাষ করে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। কৃষিনির্ভর উপকূলী জেলা সাতক্ষীরার অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য উপখাতের পাশা পাশি বোরোর আবাদ অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভবনাময় হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বোরো ধান চাষ করা ঝুঁকিপূর্ণ। এর পরিপ্রেক্ষিতে লবণাক্ততা পরিস্থিতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে বিবেচনা করে উপকূলীয় অঞ্চলে বোরো ধান চাষ সম্প্রসারণের জন্য কিছু বিশেষ কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে, যেমন-(১) লবণাক্ততা সহনশীল জাতের চাষ, (২) বীজ বোনার সময় পরিবর্তন, (৩) স্বাদু বা স্বল্প লবণাক্ত পানি দ্বারা সেচের ব্যবস্থা করা। উপকূলীয় জমিতে এই তিনটি কৌশল অবলম্বন করে বোরো ধানের চাষ ও উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

আবু ছিদ্দিক বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বোরো ধান চাষে একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো এ মৌসুমে সেচের উৎস নদ-নদী ও খালের পানি লবণাক্ত হয়ে পড়া। এমনকি মাটি ও নলকূপের পানিও লবণাক্ত হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত শুষ্কতা, তাপমাত্রা, কড়া রোদ ও বৃষ্টিবিহীন অবস্থার কারণে মাটিতে থাকা পানি অধিক হারে বাষ্প হয়ে উড়ে যাওয়ায় লবণাক্ততা বেড়ে যায়, অনেক সময় এতে মাটির উপরেও লবণের দানা বা স্তর দেখা যায়। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরের লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশের ফলে দিন দিন লবণাক্ত জমির পরিমাণ বাড়ছে। এ অবস্থায় জমিতে পানি ধরে রেখে বা সেচের মাধ্যমে বোরো ধানের চাষ করলে লবণাক্ততা কমে। সেক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে খাল সংস্কার করে সেসব খালে বৃষ্টির পানি মজুদ করে তা দিয়ে বোরো ধানে সেচের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে লবণাক্ততা সহনশীল জাতের চাষ করলে এসব এলাকার খাল বা নদীর পানিতে অথবা নলকূপের পানিতে লবণাক্ততার মাত্রা সহনীয় থাকে সেসব এলাকায় লবণাক্ততা সহনশীল জাতের চাষ করে সেচ দিয়ে বোরো ধানের চাষ করা যায়।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামার বাড়ি) এর উপপরিচালক ড. জামাল উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি জমিতে বোরোর আবাদ হতে চলেছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় জলবায়ুর ঝুঁকি মানচিত্র তৈরি করে কৃষি, খাদ্য ও অবকাঠামোসহ সবগুলো বিষয় নিয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ৷ করে মৎস্য ঘেরে বোরোর আবাদে উৎপাদনে কৃষি খামার বাড়ি কাজ করে যাচ্ছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরার চালতেতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ত্রি- বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার চালতেতলা বাজার ব্যবসায়ীবিস্তারিত পড়ুন

সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির ছোঁয়া: পিআইবিতে মোবাইল সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ

গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা: সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও প্রযুক্তিনির্ভর সাংবাদিকতা চর্চাকে আরও কার্যকরবিস্তারিত পড়ুন

শহীদ আসিফসহ সকল শহীদের মাগফেরাত কামনায় সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা ও দোয়া

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আসিফসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় সাতক্ষীরারবিস্তারিত পড়ুন

  • দেবহাটায় দুই পরিবহনের মুখোমুখি সং/ঘ/র্ষে আ/হ/ত-২০
  • সাতক্ষীরায় কুল চাষে ঝুঁকছেন বেকার যুবকরা, জমি বেড়েছে ৫২ হেক্টর
  • সাতক্ষীরায় জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহণ
  • কলারোয়া সীমান্তে ভারতীয় মদসহ বিভিন্ন পণ্য উদ্ধার
  • সাতক্ষীরায় মেয়াদ উত্তীর্ণ বাস-মিনিবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধে মোবাইল কোর্ট
  • সাবেক এমপি হাবিবের সুস্থতা কামনা সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের
  • সাতক্ষীরায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা
  • ভিটা বাড়ি জবর দখল করতে বাড়ি ঘর ভাং/চুর, থানায় মা/ম/লা আ/ট/ক ১
  • কালিগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবতীকে ধ/র্ষ/ণ ও গ/র্ভপাত, যুবক গ্রেফতার
  • তীর্যকের নেতৃত্বে নতুন পথচলা শুরু করলো এনসিটিএফ সাতক্ষীরা
  • দেশের সেরা স্পাইন সার্জনদের একজন ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান পলাশ
  • জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের দোয়া অনুষ্ঠান