হজের নিবন্ধন শুরু, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেই লক্ষ্যে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে হজের নিবন্ধন, যা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২০২৪ সালে যারা পবিত্র হজ করতে ইচ্ছুক এবং প্রাক-নিবন্ধন করেছেন তারাই চূড়ান্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যারা প্রাক-নিবন্ধন করেছেন, তারাই আগামী বছর হজের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। ন্যূনতম দুই লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন। বাকি টাকা ফেব্রুয়ারির মধ্যে ধাপে ধাপে জমা দিতে পারবে।
এদিকে ২০২৪ সালে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের সাধারণ প্যাকেজের খরচ ২০২৩ সালের চেয়ে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কমানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আগামী বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন।
নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে। সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হবে। বিশেষ হজ প্যাকেজে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা খরচ হবে। সরকারি হজ প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে।
প্রাক-নিবন্ধনের সময় নেওয়া ২৯ হাজার টাকা বাদে প্যাকেজের বাকি টাকা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। নিবন্ধনের পর প্যাকেজ পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, এজেন্সি এবং এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাওয়া যাত্রীরা ২০২৪ সালে হজে গমনের জন্য বিমানের ভাড়া ও সৌদি আরব পর্বের ব্যয় বাবদ সর্বনিম্ন দুই লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে হজের নিবন্ধন এজেন্সির অফিসে জমা দিয়ে মানি রিসিপ্ট গ্রহণ ও সংরক্ষণ করতে পারবেন। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিজয়নগরে একটি হোটেলে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বেসরকারি পর্যায়ে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা, যা ২০২৩ সালের সাধারণ হজ প্যাকেজের চেয়ে ৮৩ হাজার ২০০ টাকা কম। আর দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।
হাব সভাপতি বলেন, হজ এজেন্সির অ্যাকাউন্টে পুরো টাকা জমা দেওয়া ছাড়া কোনো হজযাত্রী মধ্যস্বত্বভোগী দালাল কিংবা ফড়িয়াদের হাতে টাকা দিলে প্রতারিত হতে পারেন। হজযাত্রীরা মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালদের সঙ্গে হজে যাওয়ার জন্য কোনো আর্থিক লেনদেন করে প্রতারিত হলে সরকার কিংবা হাব হজ এজেন্সি দায়ী থাকবে না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)