আরো খবর
আশাশুনিতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে ধুম্রজাল, এলাকাবাসীর মানববন্ধন
আশাশুনির শোভনালীতে কলেজপড়ুয়া এক ছাত্র মৃত্যু ঘিরে এলাকায় ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে উপজেলা শোভনালী ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তায় মৃত্যুুর সঠিক রহস্য উঘাটনের জন্য দীর্ঘক্ষণ মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।
উক্ত এলাকার গোদাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের কলেজ পড়ুয়া পুত্র মোস্তাকিম রবিবার দিবাগত রাত্র ৮টার দিকে শোভনালী ব্রীজ সংলগ্ন বেতুর বিল নামক মৎস্য ঘেরে যাওয়ার পর তার মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে আসলে কি তার স্যালো মেশিনে জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কিছ।
স্থানীয়রা জনতা ও মৃত মোস্তাকিমের সহপাঠিরা মানববন্ধনে জানান, মোস্তাকিম একটি ভাল ছেলে। তবে তার সন্দেহ জনক মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা মনে করি। ৩ ইঞ্চি স্যালো মেশিনে আটকে এভাবে কেউ মারা যেতে পারে না। তাছাড়া তার মাথা উপরিভাগে পিছনে অনেকটা গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার গায়ের যে সকল দাগ রয়েছে সে গুলোও অস্বাভাবিক মনে হয়।
মানববন্ধনে তার চাচাতো ভাই রিকশা চালক গোলাম রুসুল জানান আমার ভাই কিছু দিন আগে আমাকে বলেছিল ভাই আমি বেশিদিন বাঁচব না, যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে যেন আমার লাশটি ময়না তদন্ত করা হয়। ঘটনার দিন আমি ঢাকাতেই অবস্থান ছিলাম। খবর পেয়ে আমি রাতেই গাড়ীতে উঠি। পরদিন সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ি পৌঁছে দেখি আমার ভাইয়ের কবর দেওয়ার জন্য গোসল করানো হচ্ছে। সময় ক্ষেপন না করে আমার ভাইকে ১০টার সময় কবর দেওয়া হয়। তাই তার মৃত্যুর বিষয়টি আমার নিকট স্বাভাবিক নয়। আমি আমার ভাইয়ের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই। ওই সময় উপস্থিত কয়েকজন জানান সৎ মায়ের ঘরে বেড়ে ওঠা মোস্তাকিমকে ওরা প্রায়ই নির্যাতন করতো।
মৃত মোস্তাকিমের পিতা আব্দুর রাজ্জাক জানান, রবিবার রাত্র ৮ টার দিকে আমি ও মোস্তাকিম শোভনালী ব্রীজ সংলগ্ন বেতুর বিল নামক ঘেরে যাই। স্যালো মেশিনে পানি না ওঠায় ও পাম্পের গ্যালন আটকানোর কাজ করছিল। এক পর্যায়ে তার লুঙ্গী মেশিনে জড়িয়ে যায়। আমি চিৎকার করে সবাইকে ডাকলে আশপাশের ঘেরের লোকজন ছুটে এসে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে আশাশুনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ওই সময় এলাকাবাসি বা কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এরপর পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিত কুমার অধিকারী জানান, নিহত মোস্তাকিমের মৃত্যু নিয়ে এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কেউ অভিযোগ করলে আমরা অব্শ্যই তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
১৪০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর
আশাশুনিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ১৮৫৬৬ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং স্থানীয় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ৯.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ বি এম মোস্তাকিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল।
সহকারী প্রোগ্রামান আক্তার ফারুক বিল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। শম্ভুজিত মন্ডল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ. হান্নান ও দু’জন সুবিধাভোগি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ খান।
অনুষ্ঠানে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হোসেনুজ্জামান হোসেন, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, সুবিধাভোগি পরিবারের সদস্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতীয় ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিকারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।
উদ্বোধন ঘোষণার পরপরই মুজিব বর্ষ (৫ম পর্যায়) ২য় ধাপ এর আওতায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীন আশাশুনির ১৪০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলে ১ম পর্বের খেলা সম্পন্ন
আশাশুনিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উপজেলা পর্যায়ের ১ম পর্বের খেলা সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ৮টায় আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসাবে খেলার শুভ উদ্বোধন করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এইউইওবৃন্দ সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন।
খেলায় ১২টি দল (ছাত্র ও ছাত্রী) কোয়াটার ফাইনালে উর্নীত হয়। কোয়াটার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ঃ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ গ্রুপে (ম্যাচ নং ৬) আনুলিয়া ইউনিয়নের নাংলা সপ্রাবি দল ও কাদাকাটি ইউনিয়নের কাদাকাটি সপ্রাবি দল। ম্যাচ নং ৭ ঃ শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটি সপ্রাবি ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া সপ্রাবি দল। ম্যাচ নং ৮ ঃ শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় সপ্রাবি ও দরগাহপুর ইউনিয়নের দরগাহপুর সপ্রাবি দল। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ গ্রপে (ম্যাচ নং ৬) খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালী সপ্রাবি ও আনুলিয়া ইউনিয়নের আনুলিয়া সপ্রাবি দল। ম্যাচ নং ৭ ঃ শোভনালী ইউনিয়নের বাঁকড়া সপ্রাবি ও বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা সপ্রাবি দল এবং ম্যাচ নং ৮ ঃ শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় সপ্রাবি ও দরগাহপুর ইউনিয়নের পঃ দরগাহপুর সপ্রবি দল। খেলা পরিচালনা করেন ১৫ জন রেফারী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)