কলারোয়ার কেঁড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আফজাল হোসেন হাবিলের বিরুদ্ধে ভিজিএফ (বিশেষ) ভাতার তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, করোনা, রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশব্যাপী অসহায় ও কর্মহীনদের মাঝে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই সূত্র ধরে উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ১ হাজার ২৪৫ টি পরিবার এই সহায়তার আওতায় আসবে।
আর এইসব পরিবারের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপিসদস্যগন সম্মিলিতভাবে করার কথা। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন হাবিল এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, নিজ নির্বাচনী কর্মীদের ও ব্যাক্তিগত লোকজনের নাম তালিকাভুক্ত করেছে বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য ইয়ারআলী, নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন হাবিল আমাদের বিগত ৫ বছর যাবৎ অবমূল্যায়ন করে আসছে। যেমন-টিআর, কাবিখা, এলজিইডি, এলজিএসপি ও কর্মসৃজন প্রকল্পের যাবতীয় কার্যক্রমে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি করে আসছেন। এমনকি চলমান প্রধানমন্ত্রীর উপহারের তালিকা প্রণয়নে তিনি আমাদের বিন্দুমাত্র মূল্যায়ন করেননি। এছাড়া তিনি যত্রতত্র আমাদের সাথে অসৌজন্যমৃলক আচরণ করেন। উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি কখনোই আমাদের সাথে পরামর্শ সভা ও মতামত গ্রহণ করেন না।
এমনকি আমাদের না জানিয়ে তিনি প্রকল্প প্রণয়ন ও বিল উত্তোলন করেন। তিনি আমাদের স্বাক্ষর পর্যন্ত নকল করতে পিছপা হন না। ব্যাক্তিস্বার্থে মনগড়া ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিয়ে মনগড়া কমিটি তৈরী করে করেন এবং আমাদের না জানিয়ে আমাদের নাম ও ব্যবহার করেন। এসব বিষয়ে আমরা জানতে চাইলে আমাদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারতে উদ্যত হন। আর তার এসব আচরণের জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণ।
ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে। এটা সঠিক না। তবে আমি ভিজিএফ’র জন্য প্রত্যেক ইউপি সদস্যকে ১০টি করে এবং আমি নিজে ১০টি রেখে বাকি গুলো স্থানীয় গন্যমান্য ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি তালিকা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কয়েকজন মেম্বর এটা না মেনে আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর একটি মিথ্যা লিখিত অভিযোগে দিয়েছে বলে আমি শুনেছি।
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এখন থেকে ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে উপজেলার জয়নগর, জালালাবাদ, লাঙ্গলঝাড়া, কেঁড়াগাছি, চন্দনপুর, হেলাতলা, দেয়াড়া ও যুগিখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা কোনো তালিকা করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব ইউনিয়নের তালিকা করার জন্য স্থানীয় ইউপি সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এমনকি ইতোমধ্যে প্রত্যেক ইউনিয়নে এ বিষয়ে চিটি পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)