মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ায় মানুষের নদী পারাপারে ভ্যান চালকের ড্রামের সাঁকো

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের কোঠাবাড়ী ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের রায়টা বাজার। মাঝখানে বেত্রবতী তথা বেতনা নদী। ওই দুই এলাকার যাতায়াতের একমাত্র পথ নদীর উপর বাঁশের সাঁকো। যুগ যুগ ধরে হাজারো মানুষের একমাত্র সেই বাঁশের সাঁকো আজো আলোর মুখ দেখেনি। সেখানে পাকা সেতু নির্মাণ না হওয়ার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে অনেকের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

বাঁশের সাঁকোটি কয়েক বছর অন্তর অন্তর করতে হয় সংষ্কার। স্থানীয়রা নিজেদের অর্থ আর পরিশ্রম দিয়ে বাঁশের সাঁকো মেরামত করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান।

সেই বাঁশের সাঁকো গা ঘেষে এবার মানুষের চলাচলের জন্য নিজ অর্থে প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছেন এক ভ্যান চালক।

জানা গেছে, বাঁশের তৈরী সাঁকো এতোই ছোট যে একজন মানুষ ভাল ভাবে পারাপার হতে পারে না। অনেক দূর থেকে কোন মানুষ বাইসাইকেল নিয়ে আসলে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে পারেন না।

এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোন পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষেরা জানান।

এর মধ্যে গত ৪ মাস পূর্বে ৫৮ বছর বয়সী শেখ সোবহান আলী নামের এক ভ্যান চালক কোঠাবাড়ী-রায়টা এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা করে তার একটি ইঞ্জিন ভ্যান বিক্রয় করে দিয়ে বিক্রয়ের সেই টাকা ও তার কাছে জমানো ২ লাখ টাকা দিয়ে ওই স্থানে ৩২টি ড্রাম দিয়ে একটি ভাসমান সেতু তৈরি করেন। বর্তমানে ওই সেতু দিয়ে মানুষ ভাল ভাবে চলাচল করছেন। বাঁশের সাঁকোর পাশ দিয়ে ড্রামের সেতু সংযুক্ত করা হয়েছে।

ভ্যান চালক শেখ সোবহান আলী জানান, ‘তিনি যশোরের ঝুমঝুমপুর থেকে কলারোয়ায় এসেছেন ৪১ বছর আগে। এখানে এসে রায়টা গ্রামের বিয়ে করেন। তার ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরবর্তীতে ৩ শতক জমি কিনে একটি বসত বাড়ী নির্মাণ করেন। বর্তমানে ২ মেয়ে মারুফা ও হালিমা খাতুনকে বিয়ে দিয়েছেন। ২ ছেলে ইয়াছিন ও ইমরান মালয়েশিয়ায় কাজ করেন। এখন তিনি আর ভ্যান চালান না।’

তিনি আরো জানান, ‘কোটাবাড়ী ও রায়টার নদীর মাঝে ভাসমান সেতু নির্মাণ করে সেখানে একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন। ওই চায়ের দোকান থেকে প্রতিদিন ৪/৫’শ টাকা বেচাকেনা করেন। আর ভাসমান সেতু থেকে মানুষ পারাপারে যে যা দেন সেই যতসামান্য টাকা উত্তোলণ করেন। সেখান থেকেও প্রতিদিন প্রায় ১’শ টাকার মতো আয় করেন। এই টাকা দিয়ে তিনি সংসার চালান।’

তিনি বলেন, ‘নিজে লেখাপড়া না জানলেও তার ছেলে ও মেয়েদের স্কুল ও কলেজে পড়িয়েছেন।’

এদিকে এলাকাবাসী অতিদ্রুত কোঠাবাড়ী-রায়টার ওই স্থানের বেত্রবতী নদীতে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় জামায়াতের গণসংযোগ পক্ষের ১১তম দিনে যুব সমাবেশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের ১১ম দিনে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যুববিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে মাদকসহ ১৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

সাতক্ষীরায় পৃথক চোরাচালান বিরোধী অভিযানে সদর ও কলারোয়া সীমান্ত থেকে ৫’শ পিসবিস্তারিত পড়ুন

শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বেশি বাংলাদেশি নারী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টাবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় চার দলীয় দিবারাত্রির ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা খুলনা ভেটেরান্সের
  • সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
  • কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে মহাত্মা হ্যানিম্যানের জন্মবার্ষিকী পালিত
  • কলারোয়ায় শনিবার দিনব্যাপী চার দলীয় দিবারাত্রির ফুটবল টুর্নামেন্ট
  • কলারোয়ায় ই ল্যাব ডায়াগনস্টিকের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
  • কলারোয়ায় মহিলাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু!
  • কলারোয়ায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক
  • কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া এসএসসি কেন্দ্রে দুই শিক্ষক ও এক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
  • কলারোয়ায় সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের সুস্থতা কামনায় দোয়ানুষ্ঠান
  • পিতার সুস্থতা কামনায় দোয়া চেয়েছেন বিএনপি নেতা শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু
  • সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে ২০ লক্ষ টাকার ভারতীয় পন্য জব্দ
  • খুলনা অঞ্চলিক স্কাউটসের নির্বাহী সভা ও উপ-পরিচালকের বিদায় সংবর্ধনা