রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ায় মানুষের নদী পারাপারে ভ্যান চালকের ড্রামের সাঁকো

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের কোঠাবাড়ী ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের রায়টা বাজার। মাঝখানে বেত্রবতী তথা বেতনা নদী। ওই দুই এলাকার যাতায়াতের একমাত্র পথ নদীর উপর বাঁশের সাঁকো। যুগ যুগ ধরে হাজারো মানুষের একমাত্র সেই বাঁশের সাঁকো আজো আলোর মুখ দেখেনি। সেখানে পাকা সেতু নির্মাণ না হওয়ার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে অনেকের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

বাঁশের সাঁকোটি কয়েক বছর অন্তর অন্তর করতে হয় সংষ্কার। স্থানীয়রা নিজেদের অর্থ আর পরিশ্রম দিয়ে বাঁশের সাঁকো মেরামত করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান।

সেই বাঁশের সাঁকো গা ঘেষে এবার মানুষের চলাচলের জন্য নিজ অর্থে প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছেন এক ভ্যান চালক।

জানা গেছে, বাঁশের তৈরী সাঁকো এতোই ছোট যে একজন মানুষ ভাল ভাবে পারাপার হতে পারে না। অনেক দূর থেকে কোন মানুষ বাইসাইকেল নিয়ে আসলে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে পারেন না।

এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোন পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে ওই এলাকার সাধারণ মানুষেরা জানান।

এর মধ্যে গত ৪ মাস পূর্বে ৫৮ বছর বয়সী শেখ সোবহান আলী নামের এক ভ্যান চালক কোঠাবাড়ী-রায়টা এলাকার মানুষের কথা বিবেচনা করে তার একটি ইঞ্জিন ভ্যান বিক্রয় করে দিয়ে বিক্রয়ের সেই টাকা ও তার কাছে জমানো ২ লাখ টাকা দিয়ে ওই স্থানে ৩২টি ড্রাম দিয়ে একটি ভাসমান সেতু তৈরি করেন। বর্তমানে ওই সেতু দিয়ে মানুষ ভাল ভাবে চলাচল করছেন। বাঁশের সাঁকোর পাশ দিয়ে ড্রামের সেতু সংযুক্ত করা হয়েছে।

ভ্যান চালক শেখ সোবহান আলী জানান, ‘তিনি যশোরের ঝুমঝুমপুর থেকে কলারোয়ায় এসেছেন ৪১ বছর আগে। এখানে এসে রায়টা গ্রামের বিয়ে করেন। তার ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরবর্তীতে ৩ শতক জমি কিনে একটি বসত বাড়ী নির্মাণ করেন। বর্তমানে ২ মেয়ে মারুফা ও হালিমা খাতুনকে বিয়ে দিয়েছেন। ২ ছেলে ইয়াছিন ও ইমরান মালয়েশিয়ায় কাজ করেন। এখন তিনি আর ভ্যান চালান না।’

তিনি আরো জানান, ‘কোটাবাড়ী ও রায়টার নদীর মাঝে ভাসমান সেতু নির্মাণ করে সেখানে একটি চায়ের দোকান দিয়েছেন। ওই চায়ের দোকান থেকে প্রতিদিন ৪/৫’শ টাকা বেচাকেনা করেন। আর ভাসমান সেতু থেকে মানুষ পারাপারে যে যা দেন সেই যতসামান্য টাকা উত্তোলণ করেন। সেখান থেকেও প্রতিদিন প্রায় ১’শ টাকার মতো আয় করেন। এই টাকা দিয়ে তিনি সংসার চালান।’

তিনি বলেন, ‘নিজে লেখাপড়া না জানলেও তার ছেলে ও মেয়েদের স্কুল ও কলেজে পড়িয়েছেন।’

এদিকে এলাকাবাসী অতিদ্রুত কোঠাবাড়ী-রায়টার ওই স্থানের বেত্রবতী নদীতে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় প্রচান্ড তাপদাহে তাল শাঁসের কদর বেড়েছে

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: কলারোয়ায় এই গরমে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরার প্রথিতযশা সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদের সুস্থতা কামনা

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক, চ্যানেল আই এরবিস্তারিত পড়ুন

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় যুবলীগের বিশাল শোভাযাত্রা

ফিরোজ হোসেন, সাতক্ষীরা: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার মুরারীকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পরিচিত সভা
  • কলারোয়ায় যুবদের হুইসেল ব্লোয়ার হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ সভা অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ায় সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহনে দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ
  • কলারোয়ায় সাহিত্য পরিষদের সভায় নব গঠিত কমিটি গঠন
  • কলারোয়ায় আনারস প্রতীকের বিশাল নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ
  • চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান
  • সাতক্ষীরায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেলো সততা সংঘের টাকা
  • বছরের পর বছর অনুপস্থিত থাকায় কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা বেলালী চাকুরীচ্যুত
  • কলারোয়ার দেয়াড়া হাইস্কুলের সভাপতি হলেন শরিফুল ইসলাম
  • কলারোয়ায় কদর বেড়েছে দুলালের দইয়ের
  • কলারোয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
  • ঢা.বি’তে কলারোয়ার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সোনাই’র নয়া কমিটি